তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ! অভিষেক ‘পাওয়ারফুল ইঞ্জিন’ হলেও মমতা ‘বলিষ্ঠ নেত্রী’ দাবি মদনের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের মতোই এবার আরও একবার তৃণমূলের অন্দরে প্রকট হয়ে উঠেছে নবীন প্রবীণ দ্বন্দ্ব। একথা সকলেই জানেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই রয়েছে রাজ্যের পুলিশ দপ্তর। এবার সেই দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবিতেই দলের অন্দরে চলছে চাপানউতোর।

হুমায়ুন কবীরকে কটাক্ষ মদন মিত্রের (Madan Mitra)

সোমবারেই দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পুলিশ মন্ত্রীর দায়িত্ব তুলে দেওয়ার দাবি তুলেছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তা নিয়ে শাসক দলের অন্দরে বাড়তে শুরু করেছে নবীন-প্রবীণ চাপানউতোর। গতকালই এই নবীন প্রবীণ দ্বন্দ খারিজ করে দিয়ে ফুঁসে উঠেছিলেন দলের অন্যতম বিশ্বস্ত সৈনিক তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

নেত্রীর সমর্থনে জোরালো গলায় তিনি বলেছিলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও সব দপ্তর এবং দলকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম।’ এবার হুমায়ুন কবিরের মন্তব্য নিয়ে তাকে পাল্টা জবাব দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। সোমবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশ মন্ত্রী করার দাবী জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেছিলেন, ‘ফুল টাইমের একজন পুলিশমন্ত্রী থাকলে আমার মনে হয় তার নজরে দিয়ে কোন অপরাধ সংগঠিত হবে না।’

হুমায়ুন কবীরকে মন্তব্য নিয়ে পাল্টা জবাবে ফিরহাদ বলেছিলেন, ‘যারা এত কথা বলছে তাঁরা  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে নির্বাচনে নামুক। তারপর জিতে দেখাক। বুঝে যাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবদিক থেকে বলিষ্ঠ নেত্রী। তিনি এখনও সব দফতর এবং দলকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম।’

আরও পড়ুন: ‘এই বয়সে এসে…’! সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেয়নি স্বাস্থ্যভবন! দম্পতিকে কী বলল হাইকোর্ট?

এবার ফিরহাদ হাকিমের পর একই সুরে হুমায়ুন কবিরকে আক্রমণ সানলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। এদিন তিনি বলেছেন, ‘আগে হুমায়ুনের মুখে লাগাম পরানো উচিত। অভিষেক পাওয়ারফুল ইঞ্জিন। অভিষেককে যেখানে কাজে লাগানো হবে, তাতে গতি বেড়ে যাবে। কিন্তু কখন কোথায় তাঁকে কাজে লাগানো হবে, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন। উনি আছেন তো।’

Madan Mitra

একই সাথে তৃণমূলের এই নবীন প্রবীণ দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে মদন মিত্র (Madan Mitra) আরও বলেন, ‘৭০-৮০ বছরের পুরনো অনেক গাড়ি আছে, যা নতুন গাড়িকে হার মানাবে। কোনও প্রবীণ ব্যক্তি যদি সুস্থ থাকেন, তাহলে তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়া যায়। মহাভারতের যুদ্ধে নবীন-প্রবীণ মিলেই লড়াই হয়েছিল। সেখানে কেউ বলেননি, ভীষ্ম, দ্রোণাচার্যদের দরকার নেই। প্রত্যেকের ভূমিকা ছিল। নবীনদের দরকার। কিন্তু, তাঁদের হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রবীণদের দরকার। তাঁদের অভিজ্ঞতা দরকার।’ একেবারে শেষে বিধায়কের সংযোজন, ‘নেত্রী ও সেকেন্ড ইন কম্যান্ড নিয়ে আমাদের দলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। বাকি সবাই কর্মী।’

ad

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর