বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছোট থেকেই দারিদ্রতা নিত্য সঙ্গী। তবে দুচোখ ভরা স্বপ্ন ছিল অটুট। লক্ষ্য চিকিৎসক হয়ে সাধারণ মানুষের সেবা। সেই লক্ষ্যেই এবার একধাপ এগিয়ে গেলেন বছরে একুশের সরফরাজ (Sarfaraz)। ইট বওয়ার কাজ করে দৈনিক আয় হত ৩০০ টাকা। প্রতিদিন ৮ ঘন্টা দিনমজুরি করেও ছেড়ে দেননি পড়াশোনা।
নিট (NEET) পরীক্ষায় তাক লাগালেন দিনমজুর
নিয়েছেন প্রস্তুতি। বাংলার সেই হতদরিদ্র ছেলে সরফরাজ সসম্মানে উত্তীর্ণ হলেন ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট (NEET)। পিএম আবাস যোজনায় পাওয়া ছোট্ট ঘরে পরিবারকে নিয়ে কোনওরকমে বাস করেন সরফরাজ। দারিদ্রতা প্রবল সংসারে। তাই প্রতিদিন বাবার সাথে যেতেন দিনমজুরের কাজে। প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ইট বইতেন।
সন্ধ্যাবেলা বাড়ি ফিরে এসে বসে পড়তেন বই নিয়ে। জানা গেছে, একটা স্মার্টফোনও নেই সরফরাজের কাছে। ছোট থেকে তার স্বপ্ন ছিল এনডিএতে যোগদান করার। তবে করোনা মহামারী অনেকটাই তাল কেটে দেয় সরফরাজের। তারপর ইউটিউব দেখেই শুরু করেন নিট পরীক্ষার (NEET) প্রস্তুতি। ২০২৩ সালে পাশ করলেও আর্থিক সমস্যার কারণে শুরু করতে পারেননি পড়াশোনা।
আরোও পড়ুন : অপেক্ষার অবসান! শুক্রবার থেকেই অ্যাকাউন্টে ঢুকবে এই প্রকল্পের টাকা! বড় ঘোষণা মমতার
২০২৪ সালের ফের নিট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাংলার (West Bengal) এই ছেলেটি চেষ্টা চালাচ্ছে এনআরএস-এ ভর্তি হওয়ার। সরফরাজ জানান, ইউটিউবে ফিজিক্স ওয়াল্লাহর ভিডিও তাকে বেশ অনুপ্রাণিত করেছিল। সূত্রের খবর, মেধাবী সরফরাজের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ফিজিক্স ওয়াল্লাহ চ্যানেলের কর্ণধার আকাশ পান্ডে।
আকাশ জানিয়েছেন, তিনি সরফরাজকে কলেজে ভর্তির ফি, স্মার্টফোন ও ৫ লক্ষ টাকা দেবেন। পরে কাজ করে সেই টাকা আকাশকে ফিরিয়ে দেবেন সরফরাজ। সরফরাজের জীবনের গল্প (Success Story) নিজের চ্যানেলে শেয়ার করেছেন আকাশ। সাধারণ মানুষ সরফরাজের এই জীবন যুদ্ধকে কুর্নিশ করেছেন। অনেকেই বলছেন আগামী দিনে বহু ছাত্রের অনুপ্রেরণা হবেন সরফরাজ।