বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি মুসলিম সম্প্রদায় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন ডেবরার তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এবার তাঁর সেই মন্তব্য কে হাতিয়ার করেই তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress) আক্রমণ শানাল বিজেপি। এদিন ডেবরার তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক দাবি করেছিলেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মুসলিমরাই খুন করছে মুসলিমদের। আর তার কারণ হিসেবে মুসলিমদের অজ্ঞতা এবং শিক্ষার অভাব সহ আরও বেশ কিছু বিষয়কে দায়ী করেছিলেন হুমায়ুন কবীর।
‘তৃণমূল (Trinamool Congress) মুসলমান সমাজকে দিয়ে অপরাধ করায়’!
এবার তাঁর করা সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার ককরেই বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বিস্ফোরক দাবি তুললেন রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি ‘তৃণমূল (Trinamool Congress) মুসলমান সমাজকে ব্যবহার করে অপরাধমূলক কাজ করিয়ে থাকে। আর দরকার ফুরিয়ে গেলে ছুঁড়ে ফেলে দেয়’। আর এর জন্য তিনি দায়ী করেছেন তাঁদের ‘অশিক্ষা’, ‘অনুন্নয়ন’ এবং ‘বেকারত্ব’কে।
কি বললেন তরুণজ্যোতি তিওয়ারি?
তরুণজ্যোতি তিওয়ারির কথায়, ‘মুসলমানদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতার প্রধান কারণ অশিক্ষা, বেকারত্ব এবং অনুন্নয়ন। ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক আজ এই কথা বললেন। কিন্তু এই একই কথা তো আমরা বেশ কয়েকদিন ধরেই বলে আসছি। মুসলমান সমাজকে তৃণমূল শুধুমাত্র ব্যবহার করে। কিন্তু উন্নয়নের কথা ভাবে না। ওঁদেরকে দিয়ে যাবতীয় অপরাধমূলক কাজ করায় তৃণমূল। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে এঁদেরকে শেষ করে দেয় তৃণমূল।’
হুমায়ুন কবীরের মন্তব্য
তবে এদিন ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবিরকে নিজের দলের বিরুদ্ধে কোন ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। উল্টে দলের প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, ‘রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার পর থেকেই মুসলিমদের অবস্থা আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে’। হুমায়ুন কবিরের কথায়, ‘বরাবরই অনগ্রসর ছিলেন। এখন একটু উন্নতি হয়েছে। আমাদের যে নতুন সরকার, সেই সরকার এসে অনেক কাজ করছে। তার ফলে অনেকটা উন্নতি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: অ্যাকশন মুডে মমতা বন্দোপাধ্যায়! কালীঘাটে বৈঠক ডাকলেন তৃণমূল সুপ্রিমো
তবে এদিন বেশ আফসোসের সুরেই হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘এত যে খুনোখুনি হয়, ভোটের সময় বা অন্যান্য সময় মারামারি হয়, যারা খুন করছে, তারা মুসলিম..বেশিরভাগটাই। যারা খুন হচ্ছে, তারাও মুসলিম।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটের সময় যখন প্রায় ৫২-৫৩ মার্ডার হয়েছিল, সেইসময় আমি বলেছিলাম যে মুসলিমরা কেন মার্ডার হচ্ছে? তারা তো দাঁড়াচ্ছে না ভোটে। তারা তো কিছু করছে না। তারাও মার্ডার হয়ে যাচ্ছে।’
একই সাথে এর নেপথ্য কারণ জানিয়ে ডেবরার বিধায়ক দাবি করেছেন, ‘অজ্ঞতা’-ই এর জন্য দায়ী। আর তাঁরা নাকি ভালো-মন্দ না বুঝেই যে কোনও উসকানিতে পা দিয়ে ফেলেন। সেই সঙ্গে জড়িয়ে আছে অর্থনৈতিক দিকটাও। বিধায়কের কথায়, ‘নিজেরাই লেগে পড়েন। কাউকে কি মারামারি করতে বা গুলি করতে কেউ বলেন? নিজেরাই নেমে পড়েন। ছোট-ছোট স্বার্থ নিয়ে তাঁরা নেমে পড়েন।’