বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত অক্টোবরে দশেরার দিন খুন হয়েছিলেন এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকী (Baba Siddique)। দু মাস হওয়ার আগেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে হেরে ভূত হলেন তাঁর ছেলে জিশান সিদ্দিকী। অথচ বাবার মৃত্যুর পরেই নিজের বহু পুরনো দল থেকে বেরিয়ে এনসিপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাবা সিদ্দিকীর (Baba Siddique) শোচনীয় মৃত্যুতে যে শোরগোলটা পড়েছিল তার প্রভাব দেখা গেল না নির্বাচনে। জিশানকে হারিয়ে বান্দ্রা পূর্বে জয়ী হলেন উদ্ধব ঠাকরের বোনপো বরুণ সারদেশাই।
বাবা সিদ্দিকীর (Baba Siddique) মৃত্যুর পরেই হারলেন ছেলে
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনে লড়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের থেকে এই কেন্দ্র ছিনিয়ে নিয়েছিলেন জিশান সিদ্দিকী। কিন্তু বাবার (Baba Siddique) মৃত্যুর পরপরই ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে অজিত পাওয়ারের এনসিপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, এবারে মহারাষ্ট্রে শরদ পাওয়ারের এনসিপি এবং উদ্ধব ঠাকরের দলের সঙ্গে কংগ্রেস জোট করায় বান্দ্রা পূর্ব কেন্দ্রে থেকে আর টিকিট পাবেন না তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন জিশান।
ভোটের আগেই বদলেছিলেন দল: এরপরেই অজিত পাওয়ারের এনসিপিতে যোগ দেন তিনি। কিন্তু বান্দ্রা পূর্ব থেকে ভোটে দাঁড়িয়েও জিততে পারলেন না জিশান। বাবা সিদ্দিকীর (Baba Siddique) মৃত্যুর সহানুভূতি নির্বাচনেও তাঁর সপক্ষে আসবে বলে মনে করেছিলেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে হল না তেমনটা। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বরুণের থেকে ১১ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছেন জিশান।
আরো পড়ুন : “নিজ্জর খুনে মোদী যুক্ত নন”, চাপে পড়ে এবার উল্টো সুর কানাডা সরকারের! ফের শুরু হইচই
রাজনীতি শুরু করেছিলেন কংগ্রেসের হাত ধরে: উল্লেখ্য, মাত্র ১৮ বছর বয়স থেকেই কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু হয়েছিল জিশানের। মুম্বই যুব কংগ্রেসের পদেও ছিলেন তিনি দীর্ঘদিন। কিন্তু তাঁর বাবা (Baba Siddique) কংগ্রেস ছেড়ে এনসিপিতে যোগ দিলে সেই পদ খোয়ান জিশান। কংগ্রেস ছাড়ার পর এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন : দফায় দফায় সংঘর্ষ মণিপুরে, পরিস্থিতি সামলাতে আরও ১০ হাজার সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
প্রসঙ্গত, দশেরার দিন রাতে পূর্ব বান্দ্রায় নিজের দফতরের সামনে বাজি ফাটাচ্ছিলেন বাবা সিদ্দিকী (Baba Siddique)। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে বিধায়ক জিশান সিদ্দিকী। হঠাৎ করেই সেখানে এসে উপস্থিত হয় তিনজন দুষ্কৃতী। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে তাঁরা। জানা গিয়েছে, মোট তিন রাউন্ড গুলি চলে এদিন। ছয়টি গুলিতে শরীর ঝাঁঝরা হয়ে যায় বাবা সিদ্দিকীর (Baba Siddique)। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলেও লাভ হয়নি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় এনসিপি নেতার।