বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমেরিকায় তদন্ত এবং সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের (SEC) অভিযোগের আবহেই শেয়ার বাজারে গৌতম আদানির লিস্টেড সংস্থাগুলির শেয়ারে তীব্র পতন ঘটেছে। যার ফলে আদানি গ্রুপের মার্কেট ক্যাপও কমেছে। অন্যদিকে গৌতম আদানির (Gautam Adani) মোট সম্পদেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিপুল সম্পদ হ্রাসের কারণে, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশ্বের শীর্ষ বিলিয়নেয়ারদের তালিকায় ৪ ধাপ পিছিয়ে গিয়েছেন। বর্তমানে তিনি রয়েছেন ২১ তম স্থানে।
লাফিয়ে কমল আদানির (Gautam Adani) সম্পত্তির পরিমাণ:
এক ধাক্কায় আদানির মোট সম্পদে বিপুল পতন: আমেরিকায় গৌতম আদানির (Gautam Adani) বিরুদ্ধে ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ২,২০০ কোটি টাকা) ঘুষের অভিযোগের পর তাঁর কোম্পানিগুলির শেয়ারে পতন ঘটেছে। মূলত, তাঁর কোম্পানি আদানি গ্রিন এনার্জির একটি সোলার কন্ট্রাক্ট হাসিল করার জন্য এই ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, গৌতম আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ৭০.৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় আদানির সম্পদ ১.১৯ বিলিয়ন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ১০,০০০ কোটি টাকা কমেছে।
ধনকুবেরদের তালিকায় পিছিয়ে গিয়েছেন: সম্পদের এই পতনের প্রভাবে বিশ্বের শীর্ষ বিলিয়নেয়ারদের তালিকায় গৌতম আদানির (Gautam Adani) র্যাঙ্কিং অনেকটাই পিছিয়ে গেছে। ভারতের এই ধনকুবের এই ঘটনার পরে ২১ তম স্থানে নেমে এসেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর আগে ২০২৩ সালের শুরুতে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসেই আদানি গ্রুপ বড়সড় ঝটকার সম্মুখীন হয়েছিল। সেই সময়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের নেতিবাচক রিপোর্টের প্রভাব পড়েছিল আদানি গ্রুপের ওপর। সেই ধাক্কা কাটাতে দীর্ঘ কয়েকমাস সময় লাগে আদানি গ্রুপের।
আরও পড়ুন: ১০০ টাকার কম এই স্টক বাজারে তুলল ঝড়! মালামাল বিনিয়োগকারীরা, আপনার কাছেও কি রয়েছে?
এদিকে, আমরা যদি আদানির ঘুষ মামলার সর্বশেষ আপডেটের দিকে তাকাই সেক্ষেত্রে দেখা যাবে যে, পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকার সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন অর্থাৎ SEC আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি (Gautam Adani) এবং তাঁর ভাইপো সাগর আদানিকে সমন জারি করেছে। তাঁদেরকে সময় দেওয়া হয়েছে ২১ দিনের।
আরও পড়ুন: শ্রেয়স নয়, আরেক আইয়ারের ওপরেই ভরসা KKR-এর! ২৩.৭৫ কোটি টাকায় কেনা হল ভেঙ্কটেশকে
অভিযোগে জড়িত ৭ জন: জানিয়ে রাখি, নিউইয়র্কের ফেডারেল কোর্টে শুনানির সময়ে, গৌতম আদানির (Gautam Adani) কোম্পানির বিরুদ্ধে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা এবং সৌর শক্তির চুক্তি পেতে ভারতীয় আধিকারিকদের বিপুল ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে আদানি গ্রিন এবং অ্যাজুর পাওয়ার গ্লোবালকে এই সৌর প্রকল্পটি পেতে ভুল পথে ভারতীয় আধিকারিকদের ২৬৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২,২৩৬ কোটি টাকা) ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ঘুষের বিষয়টি আমেরিকান কোম্পানি অর্থাৎ অ্যাজুর পাওয়ার গ্লোবালের কাছ থেকে গোপন করা হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে ২০ বছরে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি মুনাফা অনুমান করা হয়েছিল। এমতাবস্থায়, মার্কিন বিচার বিভাগ এবং SEC এই মামলায় গৌতম আদানি এবং তাঁর ভাইপো সাগর আদানি সহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করেছে।