বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা উপনির্বাচনে সদ্য ছয়ে-ছয় করেছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। এরপর মাঝে রবিবার বাদ দিয়ে আজ দলের কর্মসমিতির বৈঠক বসতে চলেছে। জানা যাচ্ছে, এই বৈঠকে দলের সকল সাংসদ, বিধায়ক ও জেলার শীর্ষ নেতৃত্বকে ডাকা হয়েছে। আমন্ত্রণ পেয়েছেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ডাক পাননি দলের এক হেভিওয়েট সাংসদ।
তৃণমূলের (Trinamool Congress) কর্মসমিতির বৈঠকে ডাক পেলেন না কোন সাংসদ?
আজ সংসদ এবং বিধানসভা, দুই জায়গাতেই শীতকালীন অধিবেশন বসছে। বর্তমানে রাজ্য বিধানসভায় শাসক দলের বিধায়ক সংখ্যা ২২৬। এমতাবস্থায় সংসদ এবং বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে দলের সাংসদ, বিধায়কদের কেমন স্ট্র্যাটেজি নিয়ে এগোতে হবে, সেটা আজকের কর্মসমিতির বৈঠকে বলে দিতে পারেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। উপস্থিত থাকবেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকও।
এদিকে এমন জরুরি বৈঠকে ডাক পেলেন না তৃণমূলের (Trinamool Congress) রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর তাঁর বেশ কিছু মন্তব্য দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিল। এবার সেই সাংসদেরই কর্মসমিতির বৈঠকে ডাক না পাওয়াটাকে উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুনঃ আমজনতার জন্য সুখবর! ১ মাসে ৯৫০০ কোটি দেবে নবান্ন! বিরাট সিদ্ধান্ত মমতার
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান, এটা হয়তো তৃণমূলের অন্দরে সুখেন্দুশেখর (Sukhendu Sekhar Roy) ‘কোণঠাসা’ করার প্রথম ধাপ। এখনও অবধি এই নিয়ে জোড়াফুল শিবিরের এই রাজ্যসভার সাংসদ কোনও মন্তব্য করেননি। এদিকে আবার সদ্য জেলফেরত কেষ্টর এই বৈঠকে ডাক পাওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন বীরভূমের বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী।
এই তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক বলেন, ‘এখানে জেলমুক্তির কিছু বিষয় নেই। উনি দলের একজন নেতা, দলের প্রতি অবদান রয়েছে। উনি ফের দলে ফিরেছেন। তাই সেখান থেকে ওনাকে ডাকা হয়েছে এবং উনি যাবেন। আমরা সবাই কলকাতায় থাকব’। অন্যদিকে সুখেন্দুশেখরের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ না পাওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, বৈঠকে কাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে সেটা দলের সিদ্ধান্ত। তবে দলের প্রত্যেক কর্মীর দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলা কর্তব্য হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।