ফের ইতিহাস তৈরির পথে ISRO! শুক্রযানের জন্য অনুমোদন সরকারের, কবে হবে লঞ্চ?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একের পর এক ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ISRO (Indian Space Research Organisation)। ঠিক এই আবহেই এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার ভারত সরকার শুক্রযানের জন্য অনুমোদন দিয়েছে।

ইতিহাস তৈরির পথে ISRO:

জানা গিয়েছে যে, ২০২৮ সালে শুক্রকে প্রদক্ষিণ করা এই উপগ্রহটি ISRO উৎক্ষেপণ করবে। এই প্রসঙ্গে ISRO-র ডিরেক্টর নীলেশ দেশাই জানিয়েছেন যে, “চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পর চন্দ্রযান-৪-কেও লঞ্চ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই স্যাটেলাইট শুধু চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে না, বরং সেখান থেকে মাটি ও পাথরের নমুনা নিয়েও ফিরে আসবে। ভারত ও জাপান যৌথভাবে চন্দ্রযান-৪ মিশন পরিচালনা করবে।”

Government approves ISRO for Venus mission.

কি জানিয়েছেন নীলেশ দেশাই: এদিকে, দেশাই আরও জানিয়েছেন, “চন্দ্রযান-৪ মিশন এখনও সরকারি অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। চন্দ্রযান-৪-এ দু’টি মিশন থাকবে। এর রোভারটির ওজন হবে ৩৫০ কেজি। যা চন্দ্রযান-৩ মিশনের চেয়ে ১২ গুণ বেশি ভারী হবে। সরকারি অনুমোদনের পর, ২০৩০ সালে ISRO এই মিশন পাঠাতে সক্ষম হবে।”

আরও পড়ুন: রোহিতের প্রত্যাবর্তনে ঘুম উড়ল ভারতের এই ৩ প্লেয়ারের! প্লেয়িং ইলেভেনে আর মিলবে না সুযোগ

মঙ্গলে অবতরণের চেষ্টা থাকবে: দেশাই বলেন, “মঙ্গলে মিশনের আওতায় আমরা স্যাটেলাইটটিকে শুধু মঙ্গলের কক্ষপথেই রাখব না, তার পৃষ্ঠে অবতরণের চেষ্টাও করব। আগামী দুই বছরের মধ্যে গগনযানও চালু হবে।”

আরও পড়ুন: মেসিকে অনুসরণ করল না পুত্র থিয়াগো! আর্জেন্টিনার বদলে এই দেশের ক্লাবের হয়ে হল অভিষেক

তিনি আরও জানান যে, “এটি একটি মনুষ্যবিহীন মিশন হবে। এরপর মঙ্গল মিশনে পাঠানো হবে মানুষকে। সরকার নিজস্ব স্পেস স্টেশন নির্মাণের অনুমতিও দিয়েছে। এর পাঁচটি মডিউলের মধ্যে প্রথমটি ২০২৮ সালে লঞ্চ হবে।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর