বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য জল কিংবা বাড়ি রাজ্যের সর্বত্র কারচুপির অভিযোগ। আর এবার চুরির অভিযোগ উঠল সরকারি ধান কেনার ক্ষেত্রেও। প্রত্যেক বছর চাষীদের সাহায্যের জন্য সরকারিভাবেই ধান কেনা হয়ে থাকে। এবার এই ধান কেনার ক্ষেত্রেও উঠল কারচুপির অভিযোগ। বৃহস্পতিবার এই বিষয়টি নজরে এসেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)।
ধান চুরির অভিযোগে বড় পদক্ষেপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)
এদিন প্রথমবার বিষয়টি দলনেত্রীর কানে তোলেন মুর্শিদাবাদের রায়দিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। এদিন বাইরন যখন মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন তখন মুখ্যমন্ত্রীর কক্ষেই বসেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যসচিবকে পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এমনকি সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রী এদিন মুখ্যসচিবকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন এই সরকারি ধান চুরি সাথে কোনো বিডিও যুক্ত থাকলে তাকেও যেন রেয়াত না করা হয়। প্রশাসনিক কর্তা বলে ছেড়ে না দিয়ে তার বিরুদ্ধেও তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন: কুকুরে ছিঁড়ে খাচ্ছে মানব দেহ! লিভ-ইন পার্টনারের দেহ ৪০ টুকরো করে জঙ্গলে ফেলল যুবক
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কি ঠিক কি অভিযোগ করেছিলেন বাইরন?
প্রতি বছরের মতো এই বছরেও ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় চাষীদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত ধানের মধ্যে হামেশাই ধুলো-বালি-কাঠি ইত্যাদি মেশানো থাকে। এই কারণেই প্রত্যেক কুইন্টাল পিছু ধান থেকে ৩ কেজি করে বাদ দেওয়া হয়।
আর এখানেই উঠছে গোলমালের অভিযোগ। এপ্রসঙ্গে দিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাগর দিঘির বিধায়ক অভিযোগ করেছেন সরকারি নিয়মে তিন কেজি ধান কাটার কথা বলা হয়েছে কিন্তু সেখানে ৫ কেজি করে ধান কেটে নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষিরা। তিনি জানিয়েছেন শুধু সাগর দিঘি নয় আরও কিছু বিধানসভা থেকেও এই একই অভিযোগ এসেছে তাঁর কাছে।