বাংলা হান্ট ডেস্ক: সারাক্ষণ কি ঘুম পায়। কোন কিছুতে মনযোগ বসে না। কর্ম-ব্যস্ততার এই জীবনে এমন ক্লান্তি আসাটা স্বাভাবিক। কিন্তু দেখা যায় ৭-৮ ঘন্টা ঘুমিয়েও অল্পতেই ক্লান্তি, অতিরিক্ত ঘুম (Excessive Sleep) শরীরে জেঁকে বসছে। এমন হতে দেখলে অবশ্যই সাবধান হয়ে যান। এটা কোন বিপদের ইঙ্গিত হতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, এমন উপসর্গ অনেক সময় “স্লিপিং ডিসঅর্ডার”এর কারণ হতে পারে। আবার এর পিছনেও রয়েছে বিশেষ কিছু কারণ।
অতিরিক্ত ঘুম (Excessive Sleep) ঠিক কি কি কারণে হতে পারে:
১) আয়রনের অভাব: শরীর ক্লান্ত লাগার অন্যতম কারণ হচ্ছে আয়রনের (Iron) ঘাটতি। চিকিৎসকদের মতে শরীরে আয়রন কমে গেলেই অতিরিক্ত ঘুম (Excessive Sleep) কিংবা ক্লান্তি সবচেয়ে বেশি হয়। এই উপাদানটি আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন উৎপন্ন করে। আর আয়রন কমে গেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও কমতে থাকে। যার ফলে এই সমস্যা তৈরি হয়।
২) অক্সিজেনের অভাব: অতিরিক্ত ঘুমের (Excessive Sleep) অন্যতম কারণ হচ্ছে অক্সিজেনের (Oxygen) অভাব। শরীরে সঠিকভাবে অক্সিজেন চলাচল না করলে কিংবা অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। অল্পতেই ক্লান্তি, অতিরিক্ত ঘুম চোখে নেমে আসে। এছাড়াও হাঁপ ধরা, মাথা ঝিমঝিম করা, চোখে মুখে অবসন্ন ভাব ফুটে ওঠে।
৩) অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: চিকিৎসকদের মতে, আমাদের শরীরে উপর খাদ্যাভ্যাস সবথেকে বেশি প্রভাব খেলে। আপনি যদি প্রতিনিয়ত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে দিয়ে চলাফেরা করেন তাহলে এমন সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক। অতিরিক্ত তেল মশলা, ভাজা পোড়া খাওয়া শরীরকে দুর্বল করে দেয়।
৪) জলশূন্যতা: জলশূন্যতা অর্থাৎ শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে এমন সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক। দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না থাকলে মাথাব্যথা, অবসাদ ও দুর্বলতা ইত্যাদি দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: অনর্গল ইংরেজি বলছে বিড়াল, I Iove You থেকে hello সবই যেন মুখস্থ, ভিডিও দেখলে মন ছুঁয়ে যাবে আপনার!
এগুলি ছাড়াও গবেষকরা বলছেন, ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা, হার্টের রোগ থাকলেও এমন সমস্যাও হতে পারে। এমনকি মাঝেমধ্যে, দিন দুপুরে ঘুম পেয়ে যাওয়া, নাক ডাকা, ঘুমের মাঝে জেগে ওঠা এমন সমস্যাও তৈরি হয়। এগুলো থেকে বেরোনোরও উপায়ে রয়েছে।
কি করলে এই সমস্ত সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যাবে:
চিকিৎসকদের মতে স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি সবচেয়ে বেশি বিচক্ষণ হওয়া উচিত। প্রতিদিন খাবারের পাতে সবুজ শাকসবজি, ডিম মাছ মাংস ইত্যাদি প্রয়োজন মতো থাকা চাই। বিশেষ করে ডিম থেকে যে ফ্যাট এবং প্রোটিন পাওয়া যায় তা সব খাবার থেকে পাওয়া যায় না। ডিম খেলে শরীরে এনার্জি উৎপন্ন হয়। এছাড়াও ফলমূল, বাদাম, আখরোট, কলা ইত্যাদি খাবেন।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পর্যাপ্ত জল খাওয়া। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেলে শরীর ডিহাইড্রেশনে ভোগে না। ফলে শরীর থেকে ক্লান্তি, ঘুম সব কেটে যায়। চেষ্টা করুন অতিরিক্ত ফাস্টফুড না খাওয়ার। কেননা ফাস্টফুডে থাকা বিভিন্ন রকমের বিষাক্ত পদার্থ শরীরকে ক্ষতিকর করে তোলে। এছাড়াও নিয়ম মেনে যদি প্রত্যেকদিন আধঘন্টা শরীর চর্চা করা যায় তাহলেও আপনার শরীরের পক্ষে উপকারী।