বাংলা হান্ট ডেস্কঃ খাস কলকাতার বুকে ঘটে গেল এক পুলিশ কর্মীর রহস্যমৃত্যু। আর তার মৃত্যুর (Murder) পিছনে হাত রয়েছে পরিবারের। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় প্রতিবেশীদের। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার রিজেন্ট পার্ক থানার নিউ টালিগঞ্জ এলাকায়। জানা যাচ্ছে,ওই মৃত পুলিশকর্মীর নাম শংকর চট্টোপাধ্যায়। পেশায় তিনি ছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর।
কলকাতায় পুলিশকর্মীর রহস্যমৃত্যু (Murder)
পরিবারের দাবি ওই পুলিশকর্মী বৃহস্পতিবার মারা (Murder) গিয়েছেন। যদিও একথা মানতে নারাজ প্রতিবেশীরা। তাঁদের অভিযোগ গত মঙ্গলবার বাড়ির বাইরের রাস্তায় ফেলে ব্যাপক মারধর করা হয়েছিল ওই অসুস্থ পুলিশ কর্মীকে। সেদিনের পর থেকে নাকি তাকে আর কেউ দেখতে পায়নি এলাকায়। এরপর বৃহস্পতিবার যখন শংকর বাবুর দেহ উদ্ধার হয় তখন নাকি তার দেহে রীতিমতো পচন ধরে গিয়েছিল বলে দাবি প্রতিবেশীদের।
অসুস্থ পুলিশকর্মীর ওপর তার পরিবারের লোকজনই নাকি দিনরাত অমানবিক অত্যাচার করত তার পরিবারের লোকজন। যার নেপথ্যে রয়েছে বাড়ির প্রোমোটিং। প্রতিবেশীদের অভিযোগ বাড়ির প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওই প্রাক্তন পুলিশকর্মীর সাথে তার বাড়ির মধ্যে মতনৈক্য থাকায় তাকে রীতিমতো মারধর করা হতো।
আরও পড়ুন: রুশ বিষ দিয়ে BJP নেতাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে! ভয়েই এই কাজ করে বসলেন অর্জুন সিং
এখানেই শেষ নয় প্রতিবেশীদের আরও অভিযোগ ওই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার পর বৃহস্পতিবার দিনভর পরিবারের লোকজন শংকর বাবুর ডেথ সার্টিফিকেট জোগাড় করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তবে প্রতিবেশীরা তাদের সাহায্য করেনি বলেই দাবি। এরপর বিষয়টা জানাজানি হতেই পিছু হটে যান তারা।
জানা গিয়েছে শংকরবাবুর দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল।এখনও পর্যন্ত ওই মৃত পুলিশকর্মীর স্ত্রী এবং ছেলে কেউই সামনে আসেননি। তবে তার এক ভাই মুর্শিদাবাদ থেকে এসেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন দরজার তালা তিনি খুলতে পারবেন না। তবে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তার দাদাকে মারধর করে প্রাণে মেরে ফেলা হয়েছে এই দাবি তিনি মানতে পারবেন না। তার কথায় সব পরিবারেই অশান্তি হয়। এমনকি মঙ্গলবারও মারধরের কথা অস্বীকার করে উল্টে তিনি প্রতিবেশীদের ওপরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
যদিও পুলিশ সূত্রে খবর শংকর বাবুর স্ত্রী এবং ছেলের বিরুদ্ধে তাদের কাছে কোনো অভিযোগ জমা পড়েনি। তাছাড়া বাড়িতে ডাক্তার এসে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন শংকর বাবুর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। আসলে ৫৮ বছর বয়সী শঙ্কর বাবু অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তাঁর শরীরে ছিল অনেক রোগের বাসা। ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে হেপাটাইটিস এবং কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। অসুস্থ শরীরে সিঁড়ি দিয়েও ওঠা-নামা করতেও পারতেন না। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে অফিস যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিলেন ওই পুলিশকর্মী।