বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিয়ে ভাঙলে তার প্রভাব শুধু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। সন্তান সহ সম্পূর্ণ পরিবারের ওপর তা পড়ে। বিশেষত শিশুরা এই ধরণের জিনিসে ভীষণভাবে প্রভাবিত হন। সেই কারণে একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে সন্তানদের বিষয়ে গাইডলাইন বানানোর জন্য একটি কমিটি তৈরি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে সেই কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ল।
হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জমা দেওয়া রিপোর্টে কী বলা হয়েছে?
জানা যাচ্ছে, মুম্বই হাইকোর্টে এই গাইডলাইনকে মান্যতা প্রসঙ্গে আগেই মামলা দায়ের হয়। উচ্চ আদালতের মান্যতার পর মহারাষ্ট্রের নিম্ন আদালতগুলি এই গাইডলাইন মেনে বিচার শুরু করে। এরপর পাঞ্জাব, কেরল, হিমাচল থেকে শুরু করে হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক হাইকোর্টেও চাইল্ড রাইট ফাউন্ডেশনের (Child Right Foundation) এই গাইডলাইন মান্যতা পায়। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টে একই দাবিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
বছর দুয়েক আগে চিকিৎসক রাতুল রায় একটি মামলা দায়ের করেন বলে খবর। সেই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল রুল কমিটিকে এই বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন। গতকাল উচ্চ আদালতে তার রিপোর্ট জমা পড়ল। জানা যাচ্ছে, ৮০ পাতার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অবশেষে! জামিন পেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিরাট রায় সুপ্রিম কোর্টের, তোলপাড় রাজ্য
রিপোর্ট বলছে, মা-বাবার ডিভোর্সের (Divorce) পর সন্তানদের হেফাজত নিয়ে চাইল্ড রাইট ফাউন্ডেশন ৭টি চ্যাপ্টারে একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন বানায়। সেখানে মামলা চলাকালীন সন্তানের পর্যবেক্ষণ, সন্তানকে যৌথ হেফাজতে রাখা সহ বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই গাইডলাইনে ডিভোর্স মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ার পর সন্তানের পর্যবেক্ষণ, মনস্তাত্ত্বিক দিয়ে বাবা, মা এবং সন্তানের মানসিক অবস্থা পরীক্ষা, ২০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে মা-বাবার না থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই আদালত নিযুক্ত পর্যবেক্ষকের ভূমিকা নিয়েও বলা হয়েছে বলে খবর।
গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ডিভোর্সের পর সন্তানের দেখভাল সংক্রান্ত বিশদ রিপোর্ট জমা পড়ে। তা দেখার পর বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে জানানো হয়, এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ সিদ্ধান্ত নেবে।