বাংলা হান্ট ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সদ্য প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি তিনি। গত নভেম্বর মাসে অবসর গ্রহণ করেছেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)। এবার তাঁকেই নতুন দায়িত্ব দিতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে তাতে আপত্তি জানিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে।
চন্দ্রচূড়কে (DY Chandrachud) কোন ভূমিকায় চান মোদী?
গত ১ জুলাই থেকে জাতীয় মানিবাধিকার কমিশনের (National Human Rights Commission) চেয়ারম্যান পদটি ফাঁকা রয়েছে৷ গত ৩০ জুন অবসর গ্রহণ করেছেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরুণ মিশ্র। এবার সেই পদেই চন্দ্রচূড়কে বসাতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে তাতে সায় নেই লোকসভা ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার।
জানা যাচ্ছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের শূন্যপদ পূরণে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। সম্প্রতি নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক হয়েছে। চার সদস্যের এই নিয়োগ কমিটির মাথায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সেই সঙ্গেই রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার মল্লিকার্জুন খাড়্গে। জানা যাচ্ছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে চন্দ্রচূড়ের নামে সায় দেননি দুই বিরোধী দলনেতা। কড়া আপত্তি জানান দু’জনে।
আরও পড়ুনঃ CBI-এ আস্থা নেই, নতুন করে তদন্ত চাই! সোজা হাইকোর্টের দ্বারস্থ তিলোত্তমার বাবা-মা
একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, আপত্তির কারণ জানিয়ে বিশদ রিপোর্ট কমিটির চেয়ারম্যান নরেন্দ্র মোদীর কাছে পাঠিয়ে দেবেন রাহুল-খাড়্গে। উল্লেখ্য, চন্দ্রচূড়ের আগেও সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হয়েছেন। কেজি বালাকৃষ্ণান এবং এইচএল দাত্তুকে এই পদে দেখা গিয়েছে। এবার সেই পদে চন্দ্রচূড়কে বসাতে ইচ্ছুক মোদী, শাহ (Amit Shah)।
এদিকে তাতে আপত্তি জানিয়েছেন রাহুল-খাড়্গে। জানা যাচ্ছে, কংগ্রেসের পাশাপাশি চন্দ্রচূড়কে (DY Chandrachud) নিয়ে একাধিক বিরোধী দল ও নাগরিক সংগঠনের আপত্তি রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রাক্তন সিজেআইয়ের ‘সুসম্পর্ক’ নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। কয়েক মাস আগে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির বাড়ির গণেশ পুজোয় প্রধানমন্ত্রীর যাওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার সেই ব্যক্তিকেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদে বসাতে আপত্তি জানিয়েছেন রাহুল-খাড়্গে।