বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাসিনা সরকারের পতনের পর একের পর এক ঘটনা লাইমলাইটে নিয়ে এসেছে বাংলাদেশকে। হিন্দুদের উপর অত্যাচার থেকে ক্রমাগত ভারত বিরোধী মনোভাব উত্তাপ সৃষ্টি করেছে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। এই প্রেক্ষিতে বারবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার বার্তা দিলেও বাস্তবে কিন্তু তার প্রতিফলন দেখাতে ব্যর্থ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Mohammad Yunus)।
মহম্মদ ইউনূসের (Mohammad Yunus) সাথে বাংলার পারিবারিক যোগ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা ভুলেও মুখে আনেন না তিনি। তবে এহেন ইউনূসেরই পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) সাথে রয়েছে সুনিবিড় যোগ। সোজা কথায় বলতে গেলে বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস ভারতের (India) জামাই। মহম্মদ ইউনূসের দ্বিতীয় স্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। মহম্মদ ইউনূসের দ্বিতীয় স্ত্রী আফরোজি ইউনূসের শৈশব কেটেছে বর্ধমান শহরের রানিগঞ্জ বাজার এলাকায়।
আরোও পড়ুন : OMG! মাত্র ১৭০০ টাকায় বৈষ্ণোদেবী দর্শন!ফাইভস্টারে থাকা-খাওয়া! অবিশ্বাস্য প্যাকেজ IRCTC’র
প্রথম স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর বিদেশের মাটিতেই আলাপ হয় ইউনূস ও আফরোজির। সেই সময় আফরোজি ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করছিলেন। সেখান থেকে দুজনে প্রেম, পরবর্তী সময়ে বিবাহ। মহম্মদ ইউনূসকে (Mohammad Yunus) বিয়ের পর আফরোজি কাজ শুরু করেন বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।এমনকি বিয়ের পরেও ভারতে এসেছিলেন মহম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে ইউনূসের নাম ঘোষণার পর আনন্দের উদ্বেলিত হয়ে ওঠে বর্ধমানের আফরোজির পরিবার। ইউনূসের শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়রা মাঝেমধ্যেই যান বাংলাদেশে। মহম্মদ ইউনূসের সাথে সুনিবিড় সম্পর্কও রয়েছে তাঁদের। মহম্মদ ইউনূসের শ্যালক আসফাক হোসেন বাংলাদেশের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একবার জানিয়েছিলেন, শুঁটকি মাছ খেতে খুবই পছন্দ করেন মহম্মদ ইউনূস। সব ধরনের খাবার খেলেও ইউনূস সাহেব কম পরিমাণ খান।