বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময় আমাদের দেহের প্রতিটি অঙ্গই বিকল হয়ে পড়ছে। বলা যায়, নিজেদের ভুলের কারণেই শরীরের বারোটা বাজছে। যার মধ্যে অন্যতম একটি অঙ্গ হচ্ছে লিভার (Liver)। লিভারের সমস্যায় জর্জরিত ৮ থেকে ৮০ সকলেই। তবে অনেকেই মনে করেন, ঘি, মাখন, মটন এইসব খেলেই লিভার অসুস্থ হয়ে পড়ে। যার ফলে খাবারের তালিকা থেকে অনেকেই এই সমস্ত খাবার বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছে, এগুলির থেকেও লিভারকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে বিশেষ কিছু মিষ্টি। যা আমরা প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকি।
লিভারকে (Liver) ক্ষতি করছে বিশেষ কিছু মিষ্টি:
চিকিৎসকদের মতে, শুধু ভাজাপোড়া কিংবা তেল জাতীয় খাবার খেলে লিভার (Liver) ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। এমন কিছু বিশেষ মিষ্টি রয়েছে যেগুলি খেলেও লিভারে বিভিন্ন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তেমনি একটি উপাদান হচ্ছে হাই ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ। এই উপাদানটি বলা যায় লিভারের বড় যম। হাই ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ হচ্ছে একপ্রকার সুইটনার। এগুলো অজান্তেই আমরা প্রতিনিয়ত খেয়ে যাচ্ছি।
হাই ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ শরীরের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর:
আপনাদের জানিয়ে রাখি, বিভিন্ন রকমের কুকিজ, ক্যান্ডিতে এই উপাদানটি বহুল মাত্রায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, এমন অনেক কোমল রঙিন পানীয় রয়েছে যার মধ্যে এই হাই ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ পাওয়া যায়। প্রায় সময় সকলেই এই খাবারগুলি খেয়ে থাকেন। চিকিৎসকদের মতে অতিরিক্ত ফ্রুক্টোজ শরীরে যাওয়ার ফলে লিভার (Liver) মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে, এই উপাদানটি চর্বিতে রূপান্তরিত হতে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে এই চর্বি জমতে জমতে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ নামের রোগে পরিণত হয়।
আরও পড়ুনঃ বসে খেতে পারবেন ৫ বছর, অম্বানির বিয়েতে বিপুল টাকা পেয়েও “মুখ ভার” মিকার, কেন?
এটি ছাড়াও প্রক্রিয়াজাত খাবারে লুকিয়ে থাকা চিনিও লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। চিকিৎসকদের মতে ঘি মাখনের চেয়েও খারাপ এই চিনি। শুধু কি তাই বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত সস, হেলথ ড্রিঙ্কস, নরম পানীয়তেও ওই হিডেন চিনি থাকে। যে খাবারগুলি খেলেই শরীরের অন্যতম অঙ্গ লিভার (Liver) বিকল হতে শুরু করে। দেখা দেয় ফ্যাটি লিভারের মতো অসুখ। আজ থেকেই বন্ধ করুন এই সমস্ত খাবার খাওয়া। খেতে ইচ্ছে করলে কম খান কিন্তু ভুলেও অতিরিক্ত খাবেন না।
আরও পড়ুনঃ নিলামে হয়ে গিয়েছে বড় ভুল! এই ৩ টি বিষয় IPL-এ ভোগাবে KKR-কে, মাথায় হাত অনুরাগীদের
তবে হ্যাঁ এটা ভাববেন না যে ঘি, মাখন, তেলেভাজা, ফাস্টফুড খাওয়া যাবে। এগুলি শুধু লিভারের (Liver) ক্ষতি করে না একইসাথে স্বাস্থ্যের বারোটা বাজায়। চেষ্টা করুন, প্রতিদিনের পাতে এই সমস্ত খাবার না রাখার। প্রয়োজনের শাকসবজি, মাছ, ডিম এগুলি খান তাতে শরীর সুস্থ থাকবে। এবং ডাক্তার দেখানোর ঝক্কিও পোহাতে হয় না।