বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েকদিন ধরেই ট্রাফিক (Kolkata Traffic) আইন ভাঙা থেকে শুরু করে মত্ত অবস্থায় বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগ রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে। একই সাথে ভয় ধরাচ্ছে, চালকদের একাংশের সিগন্যাল না মানার প্রবণতা। উৎসবের দিনে বিশেষ করে বড়দিন এবং বছর শেষের রাতে সেলিব্রেশানের মতো আমজনতার পথে বেড়ানো পর ট্রাফিক রুল মানবে কিনা তা নিয়ে চিন্তা ছিল লালবাজারের কর্তাদের।
ট্র্যাফিক (Kolkata Traffic) বিধি ভঙ্গের ব্যাপারে আরও কড়া কলকাতার নগরপাল
যদিও সেই আশঙ্কা যে অমূলক নয় তা স্পষ্ট হয়েছে গত এক সপ্তাহের ট্রাফিক (Kolkata Traffic) রুল ভাঙার পরিসংখ্যান দেখে। সম্প্রতি লালবাজারের তরফে ট্রাফিক নিয়ম ভাঙার যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে তা রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালকদের দাপটের পাশাপাশি উৎসবের নামে রাস্তায় বেরিয়ে সিগন্যাল ভাঙার ‘রোগ’ কার্যত চিন্তা বাড়াচ্ছে লালবাজারের কর্তাদের।
এই বিষয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর বড়দিনের আগে থেকেই শহর জুড়ে চলছে ট্রাফিক আইন ভাঙার রোগ। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ভুরি ভুরি অভিযোগ এসেছে গত কয়েক দিনে। একই সাথে অভিযোগ উঠেছে ট্রাফিক সিগন্যাল (Kolkata Traffic) ভাঙারও।
অন্যদিকে চালকদের একাংশের সিগন্যাল (Kolkata Traffic) না মানার প্রবণতাও পুলিশের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। লালবাজার সূত্রের খবর, গত এক সপ্তাহে সিগন্যাল না মানার কারণে গড়ে প্রায় দু’হাজার জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হয়েছিল। অন্যদিকে গত ২৩ ডিসেম্বর সোমবার সিগন্যাল না মানায় মোট মামলার রুজু হয়েছে ২০৯৪টি। আর পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল ২০৩৯টি ঘটনায়। বড়দিনে রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিশ নামিয়েও বিধিভঙ্গের প্রবণতা আটকানো যায়নি। ওই দিন মোট ১৯৪৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছে লালবাজার।
উৎসবের শহরে সিগন্যাল না মানার এই রোগের পাশাপাশি সপ্তাহভর মত্ত চালকদের দাপাদাপি ক্রমশ বেড়েই চলেছে রাস্তাঘাটে। বড়দিনে অভিযান চালিয়ে এমন মোট ১০০ জন চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল লালবাজার। এছাড়া বড় দিনের আগের দিন এই সমস্ত চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সংখ্যা ছিল ৬২। সারা সপ্তাহ ধর্মতলা এবং শ্যামবাজার সংলগ্ন এলাকার মত্ত চালকদের মধ্যে সবথেকে বেশি দাপট ছিল বলে জানিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।
আরও পড়ুন: স্তনবৃন্তে কামড়ের দাগে স্পষ্ট Y ক্রোমোজম! বিস্ফোরক তথ্য জানালেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ
যদিও শুধু ট্রাফিক রুল ভাঙার কারণে নয় দুর্ঘটনার কারণেও চলতি সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে অনেক যাত্রীর। সোমবার এবং মঙ্গলবার সকালে শহরের দুই প্রান্তে দুটি ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুই বাইক চালকের। এছাড়াও সারা সপ্তাহ জুড়ে দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন একাধিক যাত্রী। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে রাস্তায় এত পুলিশ থাকার পরেও কি করে এত দুর্ঘটনা ঘটছে?
ইতিমধ্যেই কলকাতার রাস্তায় দুর্ঘটনা রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন খোদ কলকাতার নগর পাল মনোজ বর্মা। অন্যদিকে নতুন বছরের সেলিব্রেশনে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়ন করার পাশাপাশি রাস্তায় যাতে কারও কোন অসুবিধা না হয় সেদিকেও নজর থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মনোজ বর্মার কথায় মত্ত অবস্থায় অথবা বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এই আইন ভাঙলেই তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’