মাদ্রাসার আড়ালে অস্ত্রের কারবার চালানো ব্যক্তি ধরা পড়লো পুলিশের হাতে !

উত্তরপ্রদেশের বিজনোর জেলায় এক মাদ্রাসা থেকে অস্ত্রশস্ত্রের পুরো ভাণ্ডার পাওয়া গেছে। মাদ্রাসার নামে সেখানে জিহাদের জন্য অস্ত্র জমা করার কার্য হতো। এই ঘটনায় মহম্মদ সাবির সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও চাঞ্চল্যকর পর্দাফাঁস হচ্ছে যা সকলকে দেশের সুরক্ষার উপর চিন্তা ভাবনা করতে বাধ্য হচ্ছে। পর্দাফাঁস হচ্ছে যে কিভাবে মাস্টারমাইন্ড প্ল্যানে জিহাদের ষড়যন্ত্রের রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে। মাদ্রাসায় শিক্ষা দেওয়ার নামে কিভাবে জিহাদের জন্য কার্য চলছে তার বড়ো বড়ো উদাহরণ সামনে চলে এসেছে।

আসলে বিজনোর যে মাদ্রাসার অস্ত্র পাওয়া গেছে সেটা অস্ত্র শস্ত্রের একটা ফ্যাক্টরি ছিল। কিন্তু প্রশাসন যাতে না জানতে পারে তার জন্য এটাকে মাদ্রাসার কাঠামো মতো করে তৈরি করা হয়েছিল। একই সাথে আশেপাশের ২৫ জন বাচ্চাকে ছাত্র হিসেবে ভর্তি নিয়েছিল। বাইরে থেকে দেখে মনে হতো যে এখানে পড়াশোনা করানো হয় তথা ইসলামের তালিম দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষা দেওয়ার নামে কাজ চলতো অস্ত্রশস্ত্রের। একদিকে বাচ্চাদের বসিয়ে অন্যদিকে চলতো অস্ত্র কারবারের কাজ।

এই মাদ্রাসায় অনেক ওষুধের বাক্স রাখা ছিল। মহম্মদ সাবিরের সাথীরা সেখানে অসুস্থ রোগী সেজে আসতো এবং ওষুধের বাক্সে অস্ত্রের লেনদেন করতো। শুধু এই নয়, মহম্মদ সাবির যে গাড়িতে যাওয়া আসা করতো সেখানে সে শিব সেনা লিখে রেখেছিল। যাতে সকলকে মনে করে এটা শিব সেনার গাড়ি এবং কেউ সন্দেহের চোখে না দেখে। অস্ত্র পাচারের লিংক বিহার পর্যন্ত জুড়ে রয়েছে। মাদ্রাসায় অনেক সময় সত্যিকারের ওষুধও দেওয়া হতো যাতে অজানা রোগী চলে এলে তাকে ম্যানেজ করা যায়। পুলিশ মহম্মদ সাবির সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। এই অস্ত্রের পাচারের লিঙ্ক কতদূর পর্যন্ত জুড়ে রয়েছে তা খুঁজে বের করছে পুলিশ।

সম্পর্কিত খবর