বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে চিনের নতুন ভাইরাস নিয়ে চিন্তিত গোটা বিশ্ববাসী। এখনও ২০২০-র করোনা ভাইরাসের তিক্ততার দাগ মানুষের মনে দগদগে। সেই স্মৃতি ভোলার আগেই ৫ বছর পর আবারও হানা দিয়েছে নতুন ভাইরাস এইচএমপিভি (Human Metapneumovirus)। ইতিমধ্যেই চিন ছাড়িয়ে ভারতেও থাবা বসিয়েছে নয়া আতঙ্ক। গুঞ্জন উঠছে এইচএমপিভি চিনে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যার ফলে সকলেই ভয় কাঁটা। এতে করে মৃত্যুর আশঙ্কা কতখানি সেই চিন্তায় ডুবে সকলে। আর এবার এই নতুন ভাইরাস নিয়ে মুখ খুলল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ WHO।
এইচএমপিভি (Human Metapneumovirus) ভাইরাস নিয়ে মুখ খুলল WHO:
জানা গিয়েছে, বুধবার WHO তাদের সদর দপ্তর জেনেভা থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে। আর সেখানেই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ডঃ মার্গারেট হ্যারিসের মতে, “সম্প্রতি চিনে বিভিন্ন মরশুমি ফ্লু, আরএসভি, সার্স কোভিড-২, এইচএমপিভি (Human Metapneumovirus) ও রাইনো ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। তবে এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ঋতু বদলেের সময় এই ধরনের সংক্রমণ ছড়ানো খুব সাধারণ ঘটনা, যা প্রতি বছরই ঘটে।” সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
“Human metapneumovirus #hMPV is NOT a new virus.
First identified in 2001, it has been in the human population for a long time. It is a common virus that circulates in winter and spring. It usually causes respiratory symptoms similar to the common cold.”
– @who pic.twitter.com/zojxwNLgH8
— United Nations Geneva (@UNGeneva) January 7, 2025
WHO-র মুখপাত্র এই বিষয়ে আরও জানান, চিনে ফুসফুস সংক্রান্ত সংক্রমণ বাড়লেও, এখনও পর্যন্ত এই সংক্রমণ নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই রয়েছে। ফলে ফুসফুস সংক্রমণ নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। চিন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত বছরেও এই সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। তার তুলনায় এ বছর আক্রান্ত সংখ্যা অনেক কম, সেইসাথে রোগীরা হাসপাতালেও কম ভর্তি হয়েছে। চিনের প্রশাসনকে এখনও পর্যন্ত এই সংক্রমণের কারণে কোনো জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করতে হয়নি। অর্থাৎ এইচএমপিভি (Human Metapneumovirus) ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের কোন কারণ দেখা যাচ্ছে না বলেই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আরও পড়ুনঃ বাংলার বাড়ি তৈরি হবে আরও সহজ! বড় আপডেট দিল পঞ্চায়েত দপ্তর
এইচএমপিভি নিয়ে আশ্বস্ত করেছে WHO: সেইসাথে WHO এইচএমপিভি নিয়ে আশ্বস্ত করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরো জানিয়েছে, এইচএমপিভি (Human Metapneumovirus) ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। এটি নতুন কোন ভাইরাস নয়। এর অনেক আগে ২০০১ সালে এই ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া যায়। বর্তমানে, মরশুম বদলের কারণে এই ভাইরাস মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তবে এতে ভয়ের কোন কারণ নেই।
আরও পড়ুনঃ ‘স্কার্টের মধ্যে দিয়ে হাতটা ঢুকিয়ে দিলেন’! হৃতিক রোশনের পরিবারের বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক অভিযোগ লগ্নজিতার
এইচএমপিভি ভাইরাস মৃত্যুর কারণ: আশ্বস্ত করার পাশাপাশি WHO-র মুখপাত্র এই নিয়ে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেছেন। মরশুম বদলের মত ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি এই ভাইরাসের মূল লক্ষণ। তবে অনেক সময় এইচএমপিভি (Human Metapneumovirus) ভাইরাস মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এর প্রভাবে রোগী ভয়ঙ্কর ভাবে অসুস্থও হয়ে পড়ে। বিশেষ করে এই বিষয় বয়স্ক এবং শিশুদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র। এছাড়াও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদেরও এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এতে মৃত্যুর কোন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, এমনটাই জানা গিয়েছে। ফলে এইচএমপিভি নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ দেখা যাচ্ছে না বললেই চলে।