বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় বলে প্রত্যেকের জীবনে একবার না একবার সুযোগ ঠিকই আসে। তবে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সফলতার (Success Story) সিঁড়িতে চড়তে পারেন খুব কম সংখ্যক মানুষ। আজ আমরা এমন এক ব্যবসায়ীর কথা আপনাদের জানাতে চলেছি যিনি স্নাতক পাস করেও একটা ভালো চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছিলেন।
সফলতার (Success Story) এক গল্প
তবে এই ব্যক্তির প্রচেষ্টা ও ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা আজ তাকে করে তুলেছে কোটি কোটি টাকার মালিক।বিহারের (Bihar) গয়ার ছোট্ট একটি গ্রামে জন্ম পঙ্কজ কুমারের। পদার্থবিদ্যায় সাম্মানিক স্নাতক অর্জন করার পর চাকরির সন্ধান শুরু করেন পঙ্কজ। তবে মনের মতো চাকরি না পেয়ে অবশেষে গয়াতে স্টেট ব্যাংকের একটি শাখার লোন এজেন্ট হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে দেন তিনি।
আরোও পড়ুন : প্রাক্তনের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ, বিয়ের আগেই মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এই বাঙালি টেলি নায়িকা!
কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করা পঙ্কজের দক্ষতা অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংস্থার কর্তাদের। শুধু চাকরি নয়, পঙ্কজ চেয়েছিলেন বড় কিছু একটা করতে। সেই লক্ষ্যে একটি কোম্পানি তৈরি করে বিহারের বিভিন্ন শহরের সাথে ব্যাংকের কার্যকলাপের সংযোগকারী ব্যবসা (Business) শুরু করেন পঙ্কজ।
আরোও পড়ুন : নতুন পথচলা শুরু, সিরিয়াল শুরুর আগেই “নজির” গড়ল বেঙ্গল টপার মেগার প্রোডাকশন হাউজ!
ব্যবসার শুরুর দিকেই বহু যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান করে নয়া নজির সৃষ্টিও করেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকার জন ধন যোজনার অধীনে গ্রামগুলিতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার স্কিম শুরু করলে বদলে যায় পঙ্কজের জীবন। সেই সময়টাতে গ্রামে গিয়ে অনেকেই কাজ করতে চাইতেন না। অন্যান্যদের এই মনোভাবকেই হাতিয়ার তৈরি করে পঙ্কজ তৈরি করে ফেললেন নয়া প্ল্যান।
সোসাইটি ফর অ্যাডভান্সড ভিলেজ ইকোনমি (SAVE) নামক একটি এনজিওর মাধ্যমে ব্যাংক সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করতে শুরু করলেন বিভিন্ন গ্রামে। গ্রামবাসীদের উদ্বুদ্ধ করলেন নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য। পরবর্তীকালে এই সংস্থার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় সেভ সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড।
আরোও পড়ুন : স্রেফ উড়ে যাবে ‘জগদ্ধাত্রী’, কথা-এভির বিয়ে দিয়েই উলটে যাবে TRP তালিকা!
বিহার-ঝাড়খন্ড সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করছে পঙ্কজের সংস্থা। এসবিআই, পিএনবি, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা সহ দেশের ৭টি বড় ব্যাঙ্কের সাথে পঙ্কজ খুলে ফেলেন ১৪ হাজারেরও বেশি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র (সিএসপি কেন্দ্র)। এই সিএসপি কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে কর্মসংস্থান হয়েছে হাজার হাজার বেকার যুবক-যুবতীর। তবে সব থেকে বড় কথা ৩০% গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে মহিলাদের দ্বারা।
পাশাপাশি পঙ্কজের সেভ মাইক্রোফাইন্যান্স এবং সেভ হাউজিং ফাইন্যান্স সংস্থা ৭টি রাজ্যের ২৪০ টি শাখার মাধ্যমে ব্যবসা করছে। প্রতিনিয়ত পঙ্কজের সংস্থায় বাড়ছে চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যাও। ২০০০ কোটি টাকার সংস্থা তৈরি করে পঙ্কজ প্রমাণ করে দিয়েছেন পরিশ্রম ও ইচ্ছাশক্তি থাকলে শূন্য থেকে শুরু করেও পৌঁছানো যায় সফলতার (Success Story) শীর্ষে।