বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের (Government Employees) বেতন সংশোধনের জন্য অষ্টম বেতন কমিশনে (8th Pay Commission) অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন ২০২৬ সালের মধ্যেই অষ্টম পে কমিশন গঠন করা হবে। এই সিদ্ধান্তের জেরে সরকারের কোষাগার থেকে খরচ হবে প্রায় ৩০ থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা। এই আবহে বিপুল পরিমাণ বাড়তি খরচ তুলতে কেন্দ্র তরফে রেলের ভাড়া (Rail Fare Hike Chance) বাড়ানো হতে পারে দাবি করা হয়েছিল একাধিক রিপোর্টে।
সত্যিই কি সেই পথে হাঁটতে চলেছে মোদী সরকার? সম্প্রতি এক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হল, এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সেই পথ বেছে নেবে না সরকার। কারণ দুই। এক আসন্ন দিল্লি নির্বাচন এবং দুই শরিকি চাপ। প্রসঙ্গত, এর আগে ষষ্ঠ এবং সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর হওয়ার পর যথাক্রমে ১৮ এবং ২২ হাজার কোটি টাকার বাড়তি খরচ তুলতে রেলের উপরেই সবটা গিয়েছিল। তাই অষ্টম বেতন কমিশনের পরও সেই বোঝা রেলের ঘাড়ে চাপবে কি না সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছিল।
জানিয়ে রাখি, অষ্টম পে কমিশন কার্যকর হওয়ার আগে রেলের টিকিটে ভর্তুকি কমানোর সুপারিশও করেছিল মন্ত্রক। তবে এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সেই নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলেই জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, অষ্টম পে কমিশন গঠন হলে ২০২৬-এর জানুয়ারি থেকে ৪৯ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর বিপুল পরিমাণে বেতন বাড়বে। পেনশনভোগীরাও লাভবান হবেন।
আরও পড়ুন: ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা নামবে দক্ষিণবঙ্গে! আজ বৃষ্টি কোন কোন জেলায়? আবহাওয়ার খবর
প্রসঙ্গত, সপ্তম বেতন কমিশন গঠন হয় ২০১৬ সালে। তার দশ বছর পর ২০২৬ সালে সেই পে কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। তার আগেই নয়া বেতন কমিশন গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে লাগু হতে চলেছে অষ্টম বেতন কমিশন। নয়া পে কমিশন আসলে প্রায় ৪৯ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর পাশাপাশি প্রায় ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগী বিরাট উপকৃত হবেন।