বাংলাহান্ট ডেস্ক : চলচ্চিত্র জগতের লাইমলাইট থেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন আইএএস অফিসার হওয়ার। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের মোহমায়া ছেড়ে সফল (Success Story) আইএএস অফিসার হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এইচএস কীর্তন। প্রায় ৩০টি ছবিতে অভিনয় করা এইচএস কীর্তনের রুপোলি পর্দায় ক্যারিয়ার ছিল অত্যন্ত সম্ভাবনাময়।
এইচএস কীর্তনের সাফল্যের কাহিনি (Success Story)
তবে এই অভিনেত্রী (Actress) চেয়েছিলেন দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে আরও বড় কিছু করার। অভিনয় জগতে ধীরে ধীরে সফলতা পেলেও এইচএস কীর্তনের লক্ষ্য ছিল ভিন্ন। শিশু শিল্পী হিসাবে বেশ কিছু ছবিতে দক্ষতার সাথে কাজ করার পরেও, পরবর্তীকালে আরও বেশকিছু ছবিতে অভিনয় করেন এইচএস কীর্তন।
আরও পড়ুন : বাতিল হয়েছে ১২ লক্ষ! OBC সার্টিফিকেট নিয়ে এবার আরও চাপে রাজ্য, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
গঙ্গা-যমুনা, কর্পুরদা গোম্বে, লেডি কমিশনার, মুদিনা আলিয়া, সার্কেল ইন্সপেক্টর, ও মালিগে, হাব্বা, ডোরে এবং সিংহদ্রি ছবিতে অভিনয় করা এইচএস কীর্তনের বরাবরই টার্গেট ছিল ইউপিএসসি (UPSC)। ছোট থেকেই বিনোদন জগতের সাথে যুক্ত থাকলেও এইচএস কীর্তন কখনোই ফাঁকি দেননি পড়াশোনায়। ২০১১ সালে কর্ণাটক অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (KAS) পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে কেএএস অফিসার হিসাবে মনোনীত হন এইচএস কীর্তন।
আরও পড়ুন : লক্ষ্য একই! কিন্তু CBI-CID’র মধ্যে আসল তফাৎটা কী জানেন? উত্তর দিতে ব্যর্থ ৯৯% মানুষই
তবে ইউপিএসসি (Union Public Service Commission) ক্র্যাক করার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে প্রথমবারের জন্য এইচএস কীর্তন বসেন UPSC CSE পরীক্ষায়। প্রথমবার ইউপিএসসি পরীক্ষায় খুব একটা ভালো ফলাফল হয়নি এইচএস কীর্তনের। এরপর একটানা ৬ বার ইউপিএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অবশেষে ২০২০ সালে স্বপ্নের দোরগোড়ায় পৌঁছান মেধাবী এই ছাত্রী।
২০২০ সালে UPSC CSE পরীক্ষায় অল ইন্ডিয়া র্যাঙ্ক (AIR) ১৬৭ অর্জন করে আইএএস অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হন একদা দাপুটে এই অভিনেত্রী। ২০২০ সালে আইএএস হিসাবে মনোনীত এইচএস কীর্তন নিযুক্ত হন কর্ণাটকের মান্ড্যা জেলায় সহকারী কমিশনার হিসেবে। বর্তমানে কর্ণাটকের চিক্কামাগালুরুতে জেলা পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে সফলভাবে (Success Story) নিজের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।