বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিনে দিনে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে পাকিস্তান। ভারতের (India) উপর জঙ্গি হামলা চালানোর জন্য অতীতেও একের পর এক চাল চেলেছে শরীফের দেশ। এবার কী ভারতের বিরুদ্ধে আরও বড় কোন নাশকতার ছক কষছে পাকিস্তান? এই প্রশ্ন কিন্তু ইতিমধ্যেই ভাবাচ্ছে দিল্লিকে। আর এমন ভাবনার নেপথ্যে অবশ্য রয়েছে এক গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে কতখানি চিন্তিত ভারত (India)?
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম)-এর (Jaish-e-Mohammed) প্রধান কার্যালয় আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গিয়েছে, আকারে দ্বিগুণ হয়ে প্রায় ১৮ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত হয়েছে জেইএমের হেডকোয়ার্টার বাহাওয়ালপুরে জামিয়া মসজিদ সুভান আল্লাহ।
আরও পড়ুন : চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর! কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি! মিলবে চোখধাঁধানো বেতন
২০১১ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে যখন পাকিস্তানের (Pakistan) মসজিদটি (Mosque) নির্মাণ হচ্ছিল তখন এটির আকার-আয়তন যা ছিল, বর্তমানে তার থেকে প্রায় দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে মসজিদের পরিসর। বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্ত্রাসী সংগঠনে নিয়োগ ও তহবিল সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে উসমান-ও-আলি ক্যাম্পাসটি।
পাশাপাশি জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর উদ্দেশ্যে অর্থ সংগ্রহ ও রণনীতি গ্রহণের কেন্দ্র হিসাবে মসজিদ ক্যাম্পাসের উন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, গত ১৬ ই ফেব্রুয়ারি এই ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয় জইশের একটি বড় সমাবেশ। জইশ-ই-মহম্মদের অন্যতম প্রধান নেতা তথা প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের ভাই তালহা আল-সাইফ বক্তব্য রাখেন এই অনুষ্ঠানে।
স্যাটেলাইট চিত্র গবেষক ডেমিয়েন সাইমনের ব্যাখ্যা, ভবিষ্যতে জঙ্গি নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করতে মসজিদটিকে অত্যাধুনিকভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। স্যাটেলাইট চিত্র দেখে ধারণা করা হচ্ছে, মসজিদের সংলগ্ন এলাকায় আরও একটি নতুন মসজিদ, একাধিক নয়া বিল্ডিং ও গবাদি পশুর আস্তাবলও নির্মাণ করা হয়েছে।
ডেমিয়েন আরও জানিয়েছেন, এখনও মসজিদ সম্প্রসারণের কাজ চলছে। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে যে ক্যাম্পাসের ভিতরে ভয়ানক কিছু কর্মকাণ্ডের প্রস্তুতি চলছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সামান্যটুকুও ত্রুটি রাখতে চাইছে না কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে তৈরি করা হয়েছে বেশ কিছু নতুন গার্ড পোস্টও।
তবে এই প্রসঙ্গে বলা যায় যে, ভারত (India) কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বলা বাহুল্য, যে কোনও পরিস্থিতিতেই ভারতের তরফে জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ভারতের (India) অবস্থান স্পষ্ট এবং সীমান্তে যে কোনও ধরনের আক্রমণ মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।