সাদা খাতা জমা দিয়েই জুটেছে চাকরি! নিয়োগ দুর্নীতিতে বিস্ফোরক তথ্য! আরও বিপাকে কালীঘাটের কাকু?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (Primary Recruitment Scam) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরগরম রাজ্য। এখনও এই দুর্নীতির শিকড় খুঁজছে সিবিআই (CBI)। সম্প্রতি এই মামলায় তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে বিস্ফোরক দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Primary Recruitment Scam) নয়া মোড়?

সম্প্রতি এই মামলায় আদালতে তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেখানে দাবি করা হয়েছে, চাকরির পরীক্ষায় প্রার্থীদের সাদা খাতা জমা দিতে বলেছিল এজেন্টরা। পরীক্ষার খাতায় একটিও প্রশ্নের উত্তর না লিখে, শুধুমাত্র কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন অনেকে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফ থেকে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চাকরিপ্রার্থীদের থেকে মোটা টাকা তুলতেন এজেন্টরা। এরপর তাঁরা সেই টাকা এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) কাছে পৌঁছে দিতেন। এভাবেই বিপুল টাকার বিনিময়ে বহু অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হতো।

আরও পড়ুনঃ গত আড়াই বছরে এই প্রথম! DA মামলা নিয়ে সরকারি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর সামনে, চাপে রাজ্য?

এদিকে সম্প্রতি এই মামলায় (Primary Recruitment Scam) বিচারভবনের বিশেষ আদালতে সুজয়, অরুণ হাজরা এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেই সঙ্গেই নথি হিসেবে বহু সাক্ষীর বয়ানও জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ এবং ‘মিডলম্যান’দের সঙ্গে অর্থনৈতিক লেনদেন এবং বৈঠকের আগেই বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে রাখতেন কালীঘাটের কাকু।

CBI Primary recruitment scam

আদালতে সূত্রে জানা যাচ্ছে, একজন সাক্ষী নিজের বয়ানে জানিয়েছেন, তিনি সম্পর্কে কুন্তলের আত্মীয়। ২০১৬ সাল থেকে কুন্তলের সঙ্গে কাজ করেন। কালীঘাটের কাকুর (Sujay Krishna Bhadra) বাড়িতে বহু বৈঠকে কুন্তলের পাশাপাশি তিনিও ছিলেন।

ওই সাক্ষী নিজের বয়ানে জানিয়েছেন, প্রথমে মূলত শান্তনুর সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের যোগাযোগ ছিল। তবে চাকরি বিক্রির (Primary Recruitment Scam) টাকার ভাগ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিবাদ হওয়ায় কুন্তল সরাসরি কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চাকরি বিক্রির এই ‘খেলা’ শুরু করেছিলেন।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর