বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে মুখোমুখি হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দুই হেভিওয়েটের সেই লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছিলেন বিজেপি নেতা। যদিও শুভেন্দুর সেই জয় নিয়ে আজও তৃণমূল নানান প্রশ্ন তোলে। এই আবহে বিগত কয়েকদিন ধরে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, ছাব্বিশের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরের দিকে নজর রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। সাম্প্রতিক অতীতে তিনি নানান ভাবে বলেছেন, একুশের ভোটে যেমন নন্দীগ্রামে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রীকে হারিয়েছিলেন, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে একইভাবে মমতাকে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী পরাজিত করবেন। এই আবহে এবার শুভেন্দু-গড়ে তৃণমূলের শিকড় আরও মজবুত করার বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে জোড়াফুল ফোটাতে উদ্যোগী অভিষেক (Abhishek Banerjee)!
শনিবার তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতৃত্বকে নিয়ে একটি মেগা ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক। সেখানে ভুয়ো ভোটার সহ নানান ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন তিনি। এই বৈঠকেই মালদা, বালুরঘাট, জলপাইগুড়ির পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর নিয়ে তৃণমূল সেনাপতি বিশেষ আগ্রহ দেখান বলে খবর। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই জেলারই বিধায়ক শুভেন্দু।
অভিষেক স্পষ্ট জানিয়েছেন, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি কেন্দ্রের মধ্যে অন্তত ১২টি কেন্দ্রে জোড়াফুল ফোটাতেই হবে। চব্বিশের লোকসভা ভোটেও এই জেলার দু’টি আসনে পরাজিত হয়েছিল তৃণমূল। দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড মনে করেন, এর জন্য দায়ী দলের কোন্দল! জানা যাচ্ছে, গতকালের বৈঠকে তিনি বলেন, ‘পূর্ব মেদিনীপুরে আমরা দু’টি আসনে পরাজিত হয়েছি। আর একটু জোর দিলে আমরা কাঁথিতে জিততাম’।
আরও পড়ুনঃ ‘সারদার বড় বেনিফিশিয়ারিটা কে’? কটাক্ষের মুখে পড়লেন কুণাল ঘোষ! হঠাৎ কী হল?
জানা যাচ্ছে, এই জেলায় কার্যত বুথ ধরে ধরে বিশ্লেষণ করেছেন তৃণমূল (TMC) সেনাপতি। নির্বাচনের আগে মানুষের কাছে কীভাবে দলের হয়ে প্রচার করতে হবে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে খবর। তিনি বলেন, কাঁথি, তমলুক, চণ্ডীপুরের মতো একাধিক জায়গায় তৃণমূল ভালো ফল করেনি। সেটা সংশোধন করার কথা বলেন। সেই সঙ্গেই যেসব জায়গায় দলের ভালো ফলাফল হয়েছে সেখানকার নেতা-কর্মীদের প্রশংসা করেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।
এদিন তৃণমূলের কর্মীদের উদ্দেশে অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, ‘তমলুক, কাঁথি দু’টো আসন বিজেপি জিতেছে। তবে ওই দু’জন সাংসদ দিল্লি থেকে কিছুই আনতে পারেননি। বরং দিল্লির রাজনৈতিক প্রভুদের খুশি করতে ব্যস্ত। একথা মানুষকে বোঝাতে হবে’। তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্য সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী দিচ্ছে। আর বিজেপি তো দেবে বলেও দিল্লি আর মহারাষ্ট্রে এখনও দিচ্ছে না। একথা মানুষ বুঝবে না?’