বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (WB Assembly Elections)। এবারও ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল (Trinamool Congress)। অন্যদিকে সরকার গড়তে বদ্ধপরিকর বিজেপি (BJP)। এই আবহে এবার জোর ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। কয়েকদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল। তার রেশ পুরোপুরি কাটার আগেই এবার পদত্যাগ করলেন এক প্রভাবশালী পদ্ম নেতা।
এবার ইস্তফা দিলেন বিজেপির (BJP) কোন নেতা?
একুশের বিধানসভা ভোটে সবুজ ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল পদ্ম! ছাব্বিশের নির্বাচনেও তেমনটা হোক নিশ্চয়ই চাইবে না পদ্ম শিবির। তবে একের পর এক যেভাবে দলবদল, পদত্যাগ হচ্ছে, তাতে আদতে বিরোধী দলের চাপ বাড়ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
হলদিয়ার বিধায়কের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বিজেপির (BJP) তালড্যাংরা মণ্ডল ৩ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আলোক মহান্তী। মঙ্গলবারই তিনি বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতির কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে খবর। দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আনুগত্য প্রকাশ করে পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এর ফলে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে গেরুয়া শিবির ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুনঃ ‘খুনের চেষ্টা’য় দোষী সাব্যস্ত হতেই ‘শরীর খারাপ’! হাসপাতালে ভর্তি ৪ তৃণমূল নেতা! তারপর যা হল…
জানা যাচ্ছে, নিজের পদত্যাগপত্রে দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আনুগত্য প্রকাশের পাশাপাশি ‘সাধ্য মতো ও নিষ্ঠার সঙ্গে’ কাজ করার কথা জানিয়েছেন আলোক। সেই সঙ্গেই কেবলমাত্র দলের স্বার্থে এই পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে তালড্যাংরা মণ্ডল ৩ সভাপতি পদে কোনও নতুন মুখকে বসানোর সুপারিশ করেছেন এই নেতা।
সম্প্রতি দোল উৎসবের আবহে বিজেপির (BJP) বাঁকুড়া জেলা সভাপতি হিসেবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগ করা হয়েছে। এরপরেই পদত্যাগ করলেন পূর্বতন জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত আলোক। এই বিষয়টিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এই প্রসঙ্গে আলোককে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ২০২১ সাল থেকে এই পদে আছি। কেবলমাত্র দলের স্বার্থে এই পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একইসঙ্গে বিজেপির নতুন বাঁকুড়া জেলা সভাপতির সঙ্গে কোনও বিরোধী নেতা বরং ভালো সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ‘এই’ পরিবারগুলিকে বাংলার বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে! ঘোষণা পুরমন্ত্রী ফিরহাদের! কাদের কপাল খুলল?
আলোক বলেন, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) উৎখাত করতে বিজেপির অনুগত সৈনিক হিসেবে কাজ করবেন। এরপর দল থেকে সরে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ। তিনি বলেন, গতকাল অবধি আলোক সিমলাপালে দলীয় কর্মসূচিতে ছিলেন। এখনও অবধি কোনও ইস্তফাপত্র পাননি বলে দাবি করেন প্রসেনজিৎ। তবে এই বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে বিজেপি (BJP) নেতার পদত্যাগের নেপথ্যে গোষ্ঠীকোন্দল দায়ী বলে দাবি করেছে তৃণমূল, সিপিএম। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, আলোক আগেও পদ্ম শিবিরের অংশ ছিলেন, এখনও রয়েছেন এবং আগামীদিনেও থাকবেন।