বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে খুলে যেতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত পাম্বান সেতু। ভারতের প্রথম উল্লম্বভাবে উত্তোলিত রেলসেতু পাম্বান ব্রিজের (India-Pamban Bridge) আধুনিক প্রযুক্তি অবাক করে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। মান্নান উপসাগরের উপর পুরনো পাম্বান ব্রিজ বন্ধ করে, কেন্দ্রীয় সরকার নয়া পাম্বান সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়।
ভারতের পাম্বান ব্রিজের (India-Pamban Bridge) বিশেষত্ব
আজ রামনবমীর দিনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করতে চলেছেন দেশের প্রথম ভার্টিকাল লিফট রেলওয়ে সি ব্রিজের। ভারতীয় মূল ভূখণ্ডের সাথে রামেশ্বরমকে যুক্ত করেছে এই নয়া পাম্বান ব্রিজই। রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘অতীতের সেতু তুলে ধরেছে নতুনকে, অকল্পনীয় সৌন্দর্যের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে পাম্বান। রামনবমীতে ভারতের প্রথম ভার্টিকাল লিফট রেলওয়ে সি ব্রিজ (প্রথম উল্লম্বভাবে উত্তোলিত রেলসেতু) দেখুন আপনারা।’
আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৮০ বছর পরেও সরকারি চাকরির অভাব! আক্ষেপ প্রকাশ করে বড় নির্দেশ দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
রেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, প্রায় ২.০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলসেতু ঝুলে রয়েছে দু’প্রান্তে থাকা প্রায় ৩৫ মিটার উঁচু স্তম্ভ থেকে। ভারতের পাম্বান সেতুর (India-Pamban Bridge) মধ্যবর্তী স্থানে থাকা ৭২.৫ মিটার লম্বা এবং ৬৪০ টনের উলম্ব অংশটি জাহাজ চলাচলের সময়ে ১৭ মিটার পর্যন্ত উঠে যেতে পারবে। রেলের দাবি, পুরনো পাম্বান সেতুর (Pamban Bridge) এই চ্যানেল খুলতে লেগে যেত প্রায় ৪৫ মিনিট মতো সময়। তবে নয়া প্রযুক্তির পাম্বান সেতু এই কাজ করে দেবে মাত্র সাড়ে পাঁচ মিনিটেই।
আরও পড়ুন : ৫০ কিমি বেগে ঝড়, কালবৈশাখীর পূর্বাভাস জারি! কিছুক্ষণেই বদলে যাবে আবহাওয়া? আপডেট
নয়া পাম্বান সেতুর নির্মাণকাজ খুব একটা সহজ ছিল না রেলের কাছে। পক প্রণালীর উত্তাল সমুদ্র ও পরিবর্তনশীল আবহাওয়া ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। পুরনো পাম্বান সেতু বয়সজনিত কারণেই দুর্বল হয়ে পড়ছিল। তাই কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেয় পুরোনো ব্রিজের পাশেই গড়ে তোলা হবে নয়া পাম্বান সেতু। সেই মোতাবেক ২০১৯ সাল নাগাদ সেতু নির্মাণের অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)।
ঝড়-ঝাপটা, ঢেউ সহ্য করে বছরের পর বছর পরিষেবা দিয়ে এসেছে পুরনো পাম্বান ব্রিজ। পারিপার্শ্বিক প্রতিকূল পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই নয়া পাম্বান সেতু এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যাতে সেটি উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ বা পরিবর্তনশীল আবহাওয়া সহ্য করতে পারে অনায়াসে। ভূমিকম্প বা ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে। রেলের দাবি, আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই সেতুতে জং ধরবে না সহজে। এমনকি ভূমিকম্প বা ঘূর্ণিঝড়ও আঁচড় কাটতে পারবে না সেতুর বুকে।