বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত শুক্রবার থেকে শিরোনামে রয়েছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence)। অশান্তির ঘটনার আঁচ গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাণ বাঁচাতে অনেকে ভিটে-মাটি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলেকে খুন (Murder) করা হয়। বাড়ি থেকে টেনে এনে দু’জনকে কুপিয়ে খুন করেন দুষ্কৃতীরা। এবার সেই ঘটনাতেই দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ (West Bengal Police)।
মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Violence) বাবা-ছেলেকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার কারা?
গত শুক্রবার দুপুরের পর থেকে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। পুলিশ-জনতার খণ্ডযুদ্ধে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ‘নবাবের শহর’। এই অশান্তির মাঝেই একদল দুষ্কৃতী সামশেরগঞ্জ নিবাসী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর পুত্র চন্দন দাসকে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম জানিয়েছিলেন, এই খুনের ঘটনা আলাদা করে তদন্ত করা হচ্ছে (Murshidabad Violence)। যার জন্য বিশেষ টিমও গঠন করা হয়। এবার তদন্ত শুরুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতভর অভিযান করে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার নিজে একথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ‘বাঘিনীকে কেন বাঘ খুঁজে দিচ্ছে না’? নাম না করে ফের মমতাকে আক্রমণ সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির?
পুলিশ সূত্রে খবর, বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় ধৃতদের নাম দিলদার নবাব ও কালু নাদাব। সম্পর্কে দুই ভাই। সামশেরগঞ্জের জিগরি অঞ্চলের বাসিন্দা তাঁরা। জানা যাচ্ছে, প্রয়াতদের পরিবারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এই ঘটনায় কারা যুক্ত থাকতে পারে বলে মনে করছেন। সেই অনুযায়ী একটি তালিকা বানায় পুলিশ। এরপর গ্রেফতার করা হয় দিলদার ও কালুকে।
জানা যাচ্ছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দিলদারকে সুতির বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে এবং কালুকে বীরভূমের মুরারই থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা বাংলাদেশ পালানোর ছক কষেছিল বলে খবর। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুই ধৃতকে আজই আদালতে তুলে হেফাজতে চাওয়া হবে।
এদিন সামশেরগঞ্জ থানায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বিষয়ে মুখ খোলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। তিনি বলেন, ‘খুনের ঘটনায় আমরা বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছি। সেখানে জেলা পুলিশের কর্মী, স্থানীয় থানা, সিআইডি, এসটিএফের দক্ষ পুলিশ আধিকারিকরা রয়েছেন। কয়েকদিন আমরা প্রচুর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছি। খুনের ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত, তাঁদের কিছুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের মধ্যে ২ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে’।
এদিকে মুর্শিদাবাদের অশান্তির ঘটনা (Murshidabad Violence) নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী বুধবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টেও এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।