কোন পথে বাংলাদেশীরা ঢুকছে বাংলায়, তদন্তে আসছে কেন্দ্রীয় দল

বাংলা হান্ট ডেস্ক- বাংলায় উপর বিশেষ নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে যত অনুপ্রবেশকারী ভারতবর্ষ ও বাংলায় বসবাস করছে তাদেরকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে এমনটাই সূত্রপাত খবর, কারণ সাম্প্রতিক আসামে এনআরসি চালু করেছে কেন্দ্র সরকার এবং সেই এনআরসি খসড়া রয়েছে যারা ভারতে বসবাস করে না তারা দেশ থেকে চলে যেতে হবে। এরপর আসামের পর সারা ভারতবর্ষে এনআরসি চালু হবে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহ, তিনি বলেন যেভাবে ভারতে বিভিন্ন দেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা এসে বসবাস করছে এবং দেশের জঙ্গি কার্যকলাপের সাথে যুক্ত হয়ছে তাদেরকে আর ভারতে রাখা যাবে না। কারণ তারা দেশের ভালো চায় না বরং দেশকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়।

images 2019 07 31T101509.817

ইতিমধ্যে কাশ্মীরের ১০ হাজার সৈন্য বাড়ানো হয়েছে এবং যে সব ব্যক্তিরা দেশদ্রোহী কথাবার্তা বলছে তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। দেশবিরোধী কথা বললেই আর দেশে থাকা যাবেনা। এটা ভারত সরকার বুঝিয়ে দিয়েছে। তাই গোটা দেশে এনআরসি করে ভারতের জনসংখ্যার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা। যারা দেশের মধ্যে থেকে অসামাজিক কাজকর্ম যুক্ত তাদেরকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় দপ্তর। বাংলায় মূলত কোচবিহার মুর্শিদাবাদ এবং বসিরহাট থেকে প্রচুর বাংলাদেশী ভারতে প্রবেশ করেছে এবং সাম্প্রতিক বেশকিছু রোহিঙ্গা ও ভারতে এসেছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। তারা ইতিমধ্যে দফায় দফায় তল্লাশি করা জন্য নির্দেশ দিয়েছে। যে সব বাংলাদেশীদের পাসপোর্ট নেই বা পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদেরকে আটক করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে সূত্র জানায় গতকাল রাতে কোচবিহারের ১০-১২ জনের একটি বাংলাদেশ দলকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কি কারনে তারা ভারতবর্ষের ঢুকলো এবং তাদের কি উদ্দেশ্য ছিল সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কিভাবে তারা এখনো ভারতবর্ষে রয়েছে সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে।

images 2019 07 31T101526.847

ইতিমধ্যে পুরো বিষয়টির ওপর নজর রেখেছে কেন্দ্রীয় দপ্তর তারা আর অনুপ্রবেশকারীদের ভারতবর্ষে থাকবেন না বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বর্ডারে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে যাতে কোন বাংলাদেশী বেশিদিন ভারতবর্ষে থাকতে না পারে এবং ভোট পরবর্তী সময় ও অমিত সাহ একাধিকবার বলেছে যে সমস্ত হিন্দু শরণার্থী বাংলাদেশে আছে। তারা যদি ভারতবর্ষে আসতে চায় তাদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এখন দেখার বিষয় অমিত সাহ এই মন্তব্য কতটা কার্যকর হয় কিন্তু মুসলিম অনুপ্রবেশকারী তাদের আর ভারতে থাকা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারত। ফলে কিছুটা হলেও আগের থেকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে বিএসএফ।

সম্পর্কিত খবর