বাংলাহান্ট ডেস্ক : আচমকাই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠল আমডাঙায় (Amdanga)। বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করা হয়। জনতাকে সরাতে গেলে পালটা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টির অভিযোগ ওঠে, ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। লাঠিচার্জ করে পুলিশও। পরিস্থিতির অবনতি হলে পরে বারাসত পুলিশ জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা পৌঁছান ঘটনাস্থলে। তাঁরা পৌঁছানোর পর ওঠে অবরোধ।
আমডাঙার (Amdanga) আইসির বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল বিধায়ক
এই ঘটনার জেরে আবারও প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে আমডাঙা (Amdanga) থানার আইসির ভূমিকা। সরব হয়েছেন আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমান। তিনি দাবি করেছেন, আইসির প্ররোচনার জেরেই গণ্ডগোল শুরু হয়। প্রথমে গ্রামবাসীরা শান্তিপূর্ণ ভাবেই অবরোধ করছিলেন। কিন্তু পুলিশ হঠাৎ লাঠিচার্জ করতে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। বিধায়ক এও অভিযোগ করেছেন, থানায় আইসির সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
চলতি মাসেই গ্রেফতার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য: উল্লেখ্য, চলতি মাসে আমডাঙায় (Amdanga) গ্রেফতার হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য রাকিবুল মণ্ডল। গত বছর এলাকায় বোমাবাজি এবং এক ব্যক্তিকে গুলি করার ঘটনার পর গ্রেফতার হন তিনি। সে সময়ে আবার রাকিবুলের পাশেই দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল বিধায়ককে। রাকিবুলকে ‘ভালো ছেলে’ আখ্যা দিয়ে গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন: অরিজিতের পর এবার আরিয়ান, পহেলগাঁও হামলার জেরে বড় সিদ্ধান্ত শাহরুখ-পুত্রের
এক বছর পর গ্রেফতার: উল্লেখ্য, গত বছরের অগাস্ট মাসে আমডাঙার (Amdanga) খুড়িগাছিতে বোমাবাজি এবং তার পরের দিন গ্রামেই এক যুবকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ১৩ জনের নামে দায়ের করা এফআইআরে নাম ছিল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য রাকিবুলের। তাঁর বিরুদ্ধে বোমাবাজি এবং অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয়েছিল বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
তারপরেই প্রায় ৭-৮ মাস ধরে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন রাকিবুল মণ্ডল। পরবর্তীতে কদম্বগাছি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সে সময় স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক বলেছিলেন, যে কেসে ধরা হয়েছে, সেই কেস দিলে আইনি লড়াই হবে। রাকিবুল জামিন পাবে। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে এনডিপিএস কেস দেওয়া হলে মানুষ মেনে নেবে না।