বাংলা হান্ট ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগাঁও-তে গত ২২ এপ্রিল ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার (Terrorist Attack) ঘটনা ঘটে। যেখানে প্রাণ হারান ২৬ জন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশজনই ছিলেন পর্যটক। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওই হামলার সময়ে পর্যটকদের ধর্ম জানতে চাওয়ার পরেই গুলি করা হয়। এদিকে, এই জঙ্গি হামলার পরেই NIA-সহ ভারতীয় গোয়েন্দা এজেন্সিগুলি অনুমান করেছে যে, হিজবুল মুজাহিদিন থেকে শুরু করে লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ মিলিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
সম্প্রতি পহেলগাঁও-তে ঘটে হামলা (Terrorist Attack):
এমতাবস্থায়, পহেলগাঁও হামলার (Terrorist Attack) যোগ্য জবাবের অপেক্ষায় রয়েছেন ভারতবাসী। ইতিমধ্যেই গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিরক্ষা সচিবের সাথে বৈঠকও ঠিক এই আবহেই একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। যেখানে দেখা গিয়েছে ভারতের ওপর। আঘাত হানার লক্ষ্যে ২ ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন একসাথে ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করছে।
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সাম্প্রতিক তদন্তে জানা যাচ্ছে যে পহেলগাঁও হামলার (Terrorist Attack) ছক কষা হয়েছিল চলতি বছরের গত ৫ ফেব্রুয়ারি। অর্থাৎ, আজ থেকে ঠিক ৩ মাস আগে। আসলে, ওই দিনই রাওয়ালকোটে
জইশ কমান্ডার তালহা সইফ ও লস্কর জঙ্গি মাসুদ ইলিয়াসের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল হামাস নেতাকে। এমতাবস্থায়, ওই বৈঠকেই ভূস্বর্গে হামলার পরিকল্পনা তৈরি হয়েছিল বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, এটা অনুমান করা হচ্ছে যে, এই হামলা সংগঠিত করার লক্ষ্যে পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা ও জইশ-ই-মহম্মদ প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের সাহায্য নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ৭ মে বাজবে যুদ্ধের সাইরেন! বঙ্গে কোথায় কোথায় মক ড্রিল? কীভাবে হবেন সতর্ক? জানুন বিশদে
ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হচ্ছে যে, ওই বৈঠকের আসল উদ্দেশ্য ছিল ইজরায়েল ও ভারত বিরোধী শক্তিগুলিকে সংগঠিত করার মাধ্যমে নিজেদের যোগসূত্র তৈরি করা। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, হামাসের কমান্ডার খালিদ কাইয়ুমির গাড়ি ঢুকছে জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরে। ঘোড়ায় চড়ে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে তাঁকে এসকর্ট করছে জইশের জঙ্গিরা। এদিকে, তার উদ্দেশ্যে ফুল ছুঁড়ে স্বাগত জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ড সফরের জন্য কবে রওনা হবে টিম ইন্ডিয়া? সামনে এল দিনক্ষণ, প্রস্তুতি শুরু করল BCCI
সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সেখানে উর্দিধারী পাকিস্তান পুলিশকেও লক্ষ্য করা গেছে। তারপর একের পর এক জঙ্গি নেতা উপস্থিত হয়। যাদের মধ্যে ছিল লস্কর-ই-তৈবার কমান্ডার আবু মুসা। ওই বৈঠকে স্পষ্টভাবে আবু মুসা জানায়, “গাজার মুজাহিদ ও কাশ্মীরের মুজাহিদরা এক হয়ে গেছে… ওই দিন আর দূরে নেই, যখন কাশ্মীরের মুজাহিদরা গাজার মুজাহিদদের নিয়ে ভারতকে (Terrorist Attack) উচিত শিক্ষা দেবে।” সে আরও বলে, “দিল্লি দখল করে নেবে এবং ভারত টুকরো টুকরো হয়ে পড়বে।”
দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও: