বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে শতাধিক জঙ্গি খতম করেছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। এরপরেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ শুরু হয়। এই আবহে আগেই সীমান্ত এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি চিকেন নেকের খুব কাছ থেকে চার জন চিনা নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। এবার এক খালিস্তানি জঙ্গি নেতাকে গ্রেফতার করল এনআইএ (NIA)। ধৃতের নাম কাশ্মীর সিং গালওয়াদ্দি ওরফে বলবীর সিং।
কাশ্মীরকে গ্রেফতার করে বড়সড় সাফল্য পেল এনআইএ (NIA)!
জানা যাচ্ছে, বিহারের মোতিহারি থেকে কাশ্মীরকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। মোতাহারির স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে কো-অর্ডিনেটেড অপারেশনে এই সাফল্য আসে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, সন্ত্রাসবাদীদের লজিস্টিক সাপোর্ট, হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা তোলার কাজ করতো ধৃত কাশ্মীর। ২০১৬ সালে নাভা জেল ভাঙার ঘটনায় অভিযুক্ত এই ব্যক্তি রিন্দা ও অন্যান্য খালিস্তানি জঙ্গিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত বলে খবর।
বিগত দু’বছরে কাশ্মীরের (Kashmir Singh Galwaddi) বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা সহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল এনআইএ। তাঁর খোঁজ দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। অবশেষে ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে তাঁকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুনঃ গ্র্যাচুইটি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না! বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের! কোন মামলায়?
চার চিনা নাগরিক ও কাশ্মীরের গ্রেফতারির পর বেশ কিছু প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। নেপাল সীমান্ত ব্যবহার করে কেন তারা ভারতে প্রবেশ করেছিল? এই বিষয়ে গোয়েন্দা সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নেপালের বিহার সীমান্ত হয়ে ঢুকে বাংলা-বিহার সীমান্তে আসাই আসল উদ্দেশ্য ছিল। উত্তরবঙ্গ করিডর তাদের গন্তব্য ছিল। চার চিনা নাগরিকের পাশাপাশি ধৃত খালিস্তানি জঙ্গিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে এনআইএ।
উল্লেখ্য, ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে সীমান্তে নজরদারি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুপ্রবেশের দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের ডিজিএমও রাজীব ঘাই জানান, অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। এরাই সীমান্তে জঙ্গি কার্যকলাপে নিযুক্ত হন। এই আবহে বড়সড় সাফল্য পেল এনআইএ (NIA)। চার চিনা নাগরিক ও কাশ্মীরকে জেরা করে কী তথ্য উঠে আসে সেটাই দেখার।