বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট (WB Assembly Elections)। ইতিমধ্যেই রাজনীতির আঙিনায় সেই আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি বঙ্গ সফরে এসে ঝড় তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাল্টা দিয়েছে তৃণমূলও। এই আবহে শুরু হয়ে গেল ১১ বনাম ১৪-র লড়াই! ছাব্বিশের ভোটের আগে তৃণমূলকে (Trinamool Congress) চাপে ফেলতে নতুন ছক বিজেপির (BJP)।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে রণনীতি সাজাতে শুরু করেছে পদ্ম শিবির (BJP)!
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শীঘ্রই ১১ বছর পূর্ণ হবে নরেন্দ্র মোদীর। অন্যদিকে বিগত ১৪ বছর ধরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৯ জুন মোদী সরকারের ১১ বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিগত ১১ বছরে মোদী সরকার কী কী কাজ করেছে, কোন কোন ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ সুবিধা পেয়েছে সেটা জনসাধারণের সামনে তুলে ধরতে উদ্যোগী গেরুয়া শিবির।
জানা যাচ্ছে, মোদী (Narendra Modi) সরকারের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে কীভাবে এই নিয়ে প্রচার করতে হবে সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশিকা পাঠিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে সমাজের নানান স্তরের নানান পেশার মানুষদের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করবে বিজেপি নেতৃত্ব। এরপর মণ্ডল স্তরে বিকশিত ভারতের সংকল্প সভার আয়োজন হবে।
আরও পড়ুনঃ চিন থেকে ডাক্তারির পড়াশোনা! অনুব্রতর চিকিৎসক হিটলার আসলে কে? সামনে একাধিক তথ্য
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে এসে তৃণমূল (TMC) সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন পিএম মোদী। কীভাবে কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প বাংলায় চালু হতে দেওয়া হচ্ছে না, সেই নিয়ে সুর চড়ান তিনি। জানা যাচ্ছে, একথাও রাজ্যবাসীর সামনে তুলে ধরবে বিজেপির নেতা, কর্মীরা।
অন্যদিকে তৃণমূলও বসে নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আমলে বিগত ১৪ বছরে জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি মানুষের পাশে থাকতে রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প এনেছে, এর মাধ্যমে কত মানুষ উপকৃত হয়েছেন, আরও মানুষকে কীভাবে যুক্ত করা হবে এসব বিষয়ে জানাতে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে বাংলার মসনদে রয়েছেন মমতা। আগামী বছর পালাবদলের হুঙ্কার দিয়েছে বিজেপি (BJP)। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, চলতি জুন মাসে ফের রাজ্যে আসতে পারেন পিএম মোদী। ছাব্বিশের ভোটের কারণেই তাঁর এই ঘনঘন বঙ্গ সফর বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।