বাংলাহান্ট ডেস্ক : চতুর্থ শ্রেণির কর্মী থেকে সোজা ডব্লিউবিসিএস অফিসার (WBCS Officer)। না, এ কোনো বইয়ের পাতায় উঠে আসা কাহিনি নয়। বরং একেবারে বাস্তব ঘটনা। এমনই অসাধ্য সাধন করেছেন ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির আদিবাসী যুবক কবীন্দ্র হাঁসদা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী থেকে সটান রাজ্যের আমলা পদে চাকরি পেয়ে স্বপ্নপূরণ করেছেন তিনি। বছর বত্রিশের যুবকের অনন্য কীর্তি এখন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে এলাকায়।
আদিবাসী যুবকের ডব্লিউবিসিএস অফিসার (WBCS Officer) হওয়ার স্বপ্নপূরণ
বেলপাহাড়ির গাড়পাহাড় এলাকার বাসিন্দা কবীন্দ্র হাঁসদা। এই গ্রামেরই প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। বেলপাহাড়ি এসসি হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি ২০০৮ সালে। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন শিলদা রাধাচরণ ইনস্টিটিউশন থেকে। উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতা আসেন কবীন্দ্র। ২০১৬ সালে নিউ আলিপুর কলেজে ইংরেজি অনার্স নিয়ে স্নাতক পাশ করেন তিনি।
নিজেই প্রস্তুতি নিয়েছেন পরীক্ষার: এরপর পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে স্ক্রিনিং পরীক্ষায় সুযোগ পান কবীন্দ্র। এক বছর পর স্বাস্থ্য দফতরে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পদে চাকরিতে যোগ দেন তিনি। সেটা ২০১৯ সাল। ওদলচুয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গ্রুপ ডি পদে নিযুক্ত হন কবীন্দ্র। কিন্তু তাঁর লক্ষ্য ছিল আরো উচ্চতর।
আরো পড়ুন : ফের অ্যাটলি-দীপিকা ধামাকা! আল্লুর সঙ্গে জুটি বেঁধে কোন চমক আনছেন অভিনেত্রী?
কী জানালেন যুবক: কর্মজীবন শুরু করলেও ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষার (WBCS Officer) জন্য বাড়িতেই প্রস্তুতি চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। লক্ষ্য স্থির রেখে করেছেন কঠিন পরিশ্রম। তার ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। ২০২২ সালে ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষা দেন কবীন্দ্র। পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। ডব্লিউবিসিএস এক্সিকিউটিভ (WBCS Officer) পদে চাকরি পান কবীন্দ্র। তাঁর স্বপ্নপূরণের ঘটনায় উচ্ছ্বসিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরো পড়ুন : মোদী জমানায় উন্নতির শিখরে ভারত, এক দশকে দেশে দরিদ্র সংখ্যা কমল ২৭ কোটি! রিপোর্ট দিল বিশ্বব্যাঙ্ক
গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে চান কবীন্দ্র। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, গ্রামে দরিদ্র মানুষজন থাকে। ছেলেমেয়েরা শিক্ষার আলোয় আসতে পারে না। তাদের শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসতে চান তিনি। শিক্ষা পেলেই তারা নিজের কাজ নিজেরা করতে পারবে বলে মন্তব্য করেন কবীন্দ্র।