বাংলার ভোটের ইতিহাসে এই প্রথম! ছাব্বিশের নির্বাচনে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিতে পারে কমিশন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা ভোট (WB Assembly Elections)। তার আগে নিরাপত্তার নজরদারি আরও পোক্ত করতে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। আগেই জানা গিয়েছিল, কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে (Kaliganj BY Election) ৩০৯টি বুথের ভেতর ও বাইরে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। এবার জানা গেল, আসন্ন উপভোটে যে পদক্ষেপগুলি নেওয়া হচ্ছে, সেগুলি ছাব্বিশের ভোটের আগে চূড়ান্ত মহড়া। কমিশন সূত্রে এমনটাই খবর।

কিউআরটি, ফ্লাইং স্কোয়্যাড, র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের গাড়িতে থাকবে ক্যামেরা (Election Commission)

এতদিন অবধি বুথের ভেতর সবটা লাইভ স্ট্রিমিং করা হতো। তবে এখন আর সেখানেই থেমে থাকতে চাইছে না কমিশন। রাজ্যের ভোটের ইতিহাসে এই প্রথমবার বুথের ভেতর ও বাইরে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই কুইক রেসপন্স টিম, র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স ও ফ্লাইং স্কোয়্যাডের গাড়ির মাথায় লাগানো থাকবে ক্যামেরা। যার মাধ্যমে সবকিছু লাইভ স্ট্রিমিং করা হবে।

ইতিমধ্যেই নাকা চেকিংয়ে এই লাইভ স্ট্রিমিং (Live Streaming) শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানে ভিডিওর পাশাপাশি অডিও-ও ভেসে আসছে। কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে কালীগঞ্জ উপভোটে চূড়ান্ত মহড়া হচ্ছে। এটা কার্যত ট্রায়াল, পরবর্তীতে ছাব্বিশের নির্বাচনে পুরোপুরিভাবে নির্দিষ্ট গাইডলাইনগুলি শুরু করবে কমিশন।

আরও পড়ুনঃ ‘কম্পার্টমেন্ট মুখ্যমন্ত্রী, শুভেন্দুর কাছে হেরেছেন’! বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতাকে আক্রমণ BJP বিধায়কের

জানা যাচ্ছে, ভোটের দিন সকাল ৭টা থেকে ভোট শেষ হওয়া অবধি বুথের ভিতরে এবং বাইরে ওয়েব কাস্টিং চলবে। এর মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর ও জেলা শাসকের দপ্তর থেকে সমগ্র ভোট মনিটারিং করা হবে। যে সকল ভোট কর্মীরা এই কাজ করবেন, তাঁদের ডিউটি রোস্টার ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে।

যে কর্মীর যখন ডিউটি থাকবে সেই সময়ের মধ্যে ওই কর্মীকে তিনি কী কী দেখেছেন তা খাতায় লিখতে হবে। এছাড়া কোনও জায়গায় অসংলগ্ন কিছু দেখে থাকলে তার জন্য তিনি কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, কাকে কী নির্দেশ দিয়েছেন সেটাও সবিস্তারে লিখতে হবে। অন্যথায় ১৯৬১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নেবে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ছাব্বিশের ভোটের আগে এই উদ্যোগকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।