অর্জুন পুরস্কার নিয়ে স্বপ্ন বর্মন রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে হোটেলে ফিরলেন ট্যাক্সি করে। উনাকে হোটেলে নামিয়ে দিয়ে যান কোচ সুভাষ সরকার। বাংলার একজন খেলোয়াড় হিসেবে পেয়েছেন অর্জুন পুরস্কার কিন্তু এইদিন স্বপ্না বর্মণকে নিয়ে তেমন উচ্ছ্বাস চোখে পড়ে নি। এমনকি রাজ্য সরকারের তরফেও স্বপ্না কে স্বাগতম জানানোর জন্য তেমন কোনো উদ্দ্যোগ নেওয়া হয় নি। বিমানবন্দরে রাজ্যের তরফে কেউই উপস্থিত ছিলেন না। একেবারে নীরবে, নিঃশ্বব্দেই উনি ফিরে এলেন।
এই ব্যাপারে স্বপ্না কে প্রশ্ন করা হলে উনি জানান ওরা হয়তো কেউ জানতেন না যে আমি কখন ফিরবো তাই হয়তো আসেন নি, আমার তাতে কোনো দুঃখ নেই। অর্জুন পুরস্কার পেয়েছি এটাই অনেক। ওনাকে ট্যাক্সি করে বাড়ি ফেরার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে উনি বলেন আমি সব জায়গায় ট্যাক্সি করে যেতেই পছন্দ করি, এর আগেও বিভিন্ন পুরস্কার পেয়ে আমি ট্যাক্সি করেই বাড়ি ফিরেছি। এবার ভাবছি নিজের একটা গাড়ি কিনবো।
গত বছর এশিয়াডে সোনা জিতেছিলেন জলপাইগুড়ির সোনার মেয়ে স্বপ্না বর্মন। 2018 সালে উনার নাম অর্জুন পুরস্কারের জন্য থাকলেও শেষ পর্যন্ত উনি পান নি অর্জুন পুরস্কার। তবে এবারে অর্জুন পুরস্কার পেয়ে বেশ খুশি স্বপ্না বর্মন। উনি বলেন জলপাইগুড়ির প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে যে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নিতে পেরেছি এটাই আমার কাছে বিরাট পাওনা।
এখনো পর্যন্ত চোট সারিয়ে পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে মাঠে নামতে পারেননি স্বপ্ন বর্মন, তার কোচ সুভাষ সরকার বলেন আমি ক্রমাগত চেষ্টা করে চলেছি স্বপ্নাকে সুস্থ করে মাঠে নামিয়ে ফের নিয়মিত প্র্যাকটিস করানোর জন্য। স্বপ্না জানান এই মুহূর্তে উনি কোনো প্রতিযোগিতায় নামতে চান না। উনার এখন মূল লক্ষ্য টোকিয়ো অলিম্পিকের টিকিট পাওয়া। এছাড়াও 2022 সালে ফের এশিয়াডে সোনা জয় উনার মূল লক্ষ্য বলেও জানান।
দুটি পায়েই ছয়টি করে আঙ্গুল আছে স্বপ্নার, তাই উনি চান এই সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে কোচের সাথে রিহ্যাব করে মাঠে ফিরতে। অপরদিকে কোচ সুভাষ সরকার ইতিমধ্যেই টোকিয়ো অলিম্পিকের যোগ্যতা প্রমান করার জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার খোজঁ খবর নিতে শুরু করেছেন।