একসময় মুকুল রায়ই ছিলেন তৃণমূলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও নেতৃত্ব। কিন্তু বছর দুয়েক হল সেই চিত্র বদলেছে। এখন মুকুল ও মমতা দুই মেরু। এমনকি তাঁদের সম্পর্ক এতটাই খারাপতর হয়েছে যে দুজনেই দুজনের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুড়ি করতেও পিছপা হন না। যদিও তা স্ভাবাবিক ব্যাপার। তাই নিজের নামে এফআইআর দায়ের হলেও সাংসদ অর্জুন সিং-এর হেনস্থা মুখ্যমন্ত্রীর চক্রান্ত বলে অভিযোগ তুললেন। মঙ্গলবার আরও একবার সেই অভিযোগ স্পষ্ট্য করলেন মুকুল রায়। শুধু মমতা নন, জ্ঞাণবন্ত সিং ও সিপি মনোজ ভার্মার বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন তিনি।
রবিবার জগদ্দলের পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। আর এই ঘটনার জেরে ইটবৃষ্টিতে মাথা ফাটে বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং-এর। আর সেই সময়ই পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে সেখানে উপস্থিত পুলিশবাহিনী সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এমনকি জনতার রোষে আক্রান্ত হন সিপি মনোজ ভার্মাও। আর মনোজ ভার্মার এই অবস্থা দেখে তাঁর ভূমিকা নিয়েও ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। বিশেষ করে বিষয়টি নিয়ে জোর কটাক্ষ শুরু করেছে বিজেপি। মনোজ ভার্মার কমিশনারের পোশাকে না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ মুকুল রায়। পাশাপাশি মনোজ ভার্মা নাকি এখন মমতার সঙ্গে আঁতাত করছেন বলে সাংবাদিকদেরর সামনে অভিযোগ করেন মুকুল রায়।
একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা জ্ঞাণবন্ত সিংকেও তুলধনা করতে ছাড়েন নি তিনি। তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্ট ব্যবস্থা নিতে বললেও কেন নেওয়া হয়নি সেই প্রশ্ন তোলেন মুকুল। একইসঙ্গে প্রমান হিসেবে রিজওয়ানু কাণ্ডের একটি বিক্ষোভের ছবি সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন মুকুল। যেখানে মমতার পাশে জ্ঞাণবন্ত সিংকে দেখা গিয়েছিল। তাই অর্জুন সিং-এর ওপর হামলা পুরোটাই পরিকল্পনা মাফিক বলে দাবি তাঁর। তবে শুধু মুকুল নন অর্জুন সিংও এই ঘটনার পিছনে মনোজ ভার্মার ষড়যন্ত্রকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআরএর কথা জানিয়েছিলেন।