লোকসভা নির্বাচনের শুরু থেকে রাজ্যে শাসক শিবিরে যে ভাঙন ধরেছিল তা অব্যাহত। ক্রমশই বিজেপির পাল্লা ভারীই হচ্ছে। তৃণমূল থেকে বহু নেতানেত্রীরা ইতিমধ্যেই হাতে তুলে নিয়েছেন বিজেপির পতাকা। রাজ্যে একাধিক পার্টি অফিসও চলে গিয়েছে গেরুয়া বাহিনীর হাতে। এবার আবারও বড়সড় ভাঙন ধরন তৃণমূলে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত ও সমিতির সদ্যসরা এবার যোগ দিলেন বিজেপিতে। গত কয়েকদিনে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা যেভাবে শাসকদল ছেড়ে গেরুয়া বাহিনীতে নাম লিখিয়েছে তাতে পূর্ব বর্ধমান জেলায় তৃণমূলের একটা বিরাট অংশ হাতছাড়া হয়ে গেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুলিয়রের হাত ধরে জেলা পরিষদের সদস্যের সঙ্গে পঞ্চায়েত ও সমিতির বেশ কয়েকজন সদস্য ও পঞ্চায়েক সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ-সহ পঞ্চায়েত সদস্যরা বিজেপিতে নাম লেখান। উল্লেখ্য পূর্ব বর্ধমান জেলায় একদিকে তপন চট্টোপাধ্যায় অন্যদিকে বিপুল দাস দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। প্রায়ই দুই দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্ধের খবর প্রকাশ্যে আসত। এবার সেই বিপুল দাস তাঁর দলের লোকজন নিয়ে যোগদিলেন বিজেপিতে।
হঠাত্ সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে বিজেপির ফলাফল মিরাক্কেল হয়েছে। তারপরই রাজ্যে আগ্রাসী মনোভাব দেখাতে শুরু করেছে বিজেপি। আর তারপর একের পর সদস্যরা তৃণমূল ছাড়ছেন। যদিও ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া সদস্যরা আবারও তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়েছেন। কিন্তু এভাবে তৃণমূলের ভাঙন কিছুটা হলেও আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক শিবিরের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।