বাংলা হান্ট ডেস্ক: হাতাহাতি বেধে গেল বিধানসভায়। কাটমানি খেয়ে নিয়োগ করা হচ্ছে চাকরিতে। বিধায়ক প্রতিমা রজকের এমন প্রশ্নেই সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি। কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায় তেড়ে গেলেন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দিকে। অবশেষে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধুন্ধুমার বিধানসভার পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামতে বাধ্য হলেন। বিধানসভার ইতিহাসে এই প্রথমবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী ওয়েলে নেমে হাতাহাতি রুখলেন।
এদিন যখন অধিবেশন চলছিল হঠাৎই প্রশ্ন ওঠে উত্তরবঙ্গ পরিবহন সংস্থায় নিয়োগ নিয়ে। প্রতিমা রজক প্রশ্ন তোলেন টাকার বিনিময়ে এনবিএসটিসি-তে স্থায়ী সরকারি চাকরি মিলছে কিনা?। তিনি বিধানসভাতে দাঁড়িয়েই সর্বসমক্ষে অভিযোগ করেন টাকা নিয়ে চাকরিতে নিয়োগ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় তিনি আরো বলেন মিঠুন নামে এক ব্যক্তি বিশাল পরিমাণে টাকা নিয়ে তারপর চাকরি পাইয়ে দিচ্ছে। প্রতিমার এই মন্তব্য করার পরেই ধুন্দুমার বাঁধে বিধানসভায়। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্কও করেন প্রতিমা কে। সরকারকে অবমাননা করার কোনো অধিকার নেই তার এমনই বলেন বিমান।
ঘটনাচক্রে ওয়েলে নেমে পড়েন কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্য়ায়। ভরতপুরের কংগ্রেস বিধায়ক তেড়ে আসেন শুভেন্দু অধিকারীর দিকে। সেইসময় তাঁর সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে যান সুতির কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এরপরই কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশের হাতাহাতি বেঁধে যায়
তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্যের। অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বিধানসভার অন্দরমহলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ওয়েলে নেমে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। শেষমেষ এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামালও দেন তিনি। বিধানসভার ইতিহাসে এই প্রথমবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী ওয়েলে নেমে হাতাহাতি রুখলেন। দলীয় বিধায়কদের সকলকে শান্ত থাকতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর গন্ডগোল কিছুটা শিথিল হতে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান তিনি।