বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra modi), দেশ এবং দশের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত। প্রতিটি দেশবাসীর মঙ্গলের এবং স্বাচ্ছন্দে বসবাসের স্বার্থে তিনি বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে। সেইসঙ্গে বহির্দেশের শত্রুর হাত থেকেও রক্ষা করে চলেছে দেশবাসীকে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দেশের প্রতি কর্ম পরায়ণ দেখে অনুপ্রাণিত হয় দেশের সিংহভাগ মানুষই। বিশেষত তুরণ প্রজন্মের উপর মোদী জির এই কর্মকান্ড ভীষণভাবে প্রভাব ফেলে। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সম্বল জেলার ববরালার বাসিন্দা আঁচল গোস্বামীর (Aanchal Goswami) ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রীর কর্মকান্ড গভীরভাবে ছাপ ফেলেছিল। যার কারণে মাত্র ১৫ বছর বয়সে জীবনের শেষ মুহূর্তে সে শুধু দেশ এবং প্রধানমন্ত্রীর কথাই ভেবে গেছে।
গত সোমবার উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলার ববরালার বাসিন্দা আঁচল গোস্বামী আত্মহত্যা করার পূর্বে ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি এবং নিজের বেশ কিছু অপূরণীয় ইচ্ছার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দীর্ঘ ১৯ পাতার এক চিঠিতে জানিয়ে, পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যায়। পরিবার পরিজনের কাউকে কোন রকম দোষ না দিয়ে, স্বইচ্ছায় এই কাজ করে সে। তবে শেষ বেলায় মায়ের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হয়েছে এই ছোট্ট মেয়েটি।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে আঁচল লিখেছে
দেশে জনসংখ্যা ১৩৫ কোটি। প্রতিদিনই লাগামহীন ভাবে বেড়ে চলেছে জনসংখ্যা। কঠোর আইন প্রণয়ন করে এই জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। উৎসবের সময় আলোর রোশনাইয়ের ক্ষেত্রে মাটির প্রদীপ ব্যবহার করতে হবে। সেইসঙ্গে সে আরও জানিয়েছে, শব্দবাজি ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, ফুলঝুরির ব্যাবহার করা হোক।
বর্তমান দিনে চীন ভারতের মধ্যেকার উত্তেজনা সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল ছিল ওই বছর ১৫-এর ছোট্ট মেয়েটি। সে বিষয়ে সে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছে, চীন থেকে ভারতে যে সমস্ত প্লাস্টিকের খেলনা সামগ্রী আসছে, তা অল্প কিছুদিন ব্যবহারের পরই ফেলে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা কখনই মাটিতে মিশে যাচ্ছে না, উল্টে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব আইনি ব্যবস্থার সাহায় নিয়ে এই কাজ বন্ধ করতে হবে।
পাশাপাশি আঁচল আরও জানিয়েছে, মাটিকে রক্ষা করতে ছোটো নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় দেড় কিলোমিটার এবং বড় নদীর পাশাপাশি এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বৃক্ষরোপণের প্রয়োজন। সেইসঙ্গে জল সংগ্রহ, চিকিৎসা ব্যবস্থার সুরাহা, অর্থ সংগ্রহ ইত্যাদি বিষয়েও মোদী জির কাছে প্রস্তাব রেখেছে আঁচল।