অন্যের দোকানে কাজ, বেতনের টাকা দান করলেন রোগীকে! দৃষ্টান্ত স্থাপন ১৬ বছরের ছেলের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দ্রুতগতিতে পরিবর্তন ঘটছে মানুষের মানসিকতার। এমনকি, দেশ তথা বিশ্বজুড়েও বৃদ্ধি পাচ্ছে বিভিন্ন হিংসাত্মক ঘটনা। মূলত, দৈনন্দিন ব্যস্ততার জীবনে এখন সকলেই প্রায় হয়ে উঠেছে আত্মকেন্দ্রিক। তবে, এই আবহেও মাঝেমধ্যে এমন কিছু খবর সামনে আসে যা রীতিমতো নতুন করে ভাবতে শেখায় সবাইকেই। শুধু তাই নয়, সমাজে এক দৃষ্টান্তও স্থাপন করে ওই ঘটনাগুলি। বর্তমান প্রতিবেদনেও আমরা ঠিক সেইরকমই এক প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব।

মূলত, আজ আমরা মুম্বাইয়ের (Mumbai) ১৬ বছর বয়সী জিতের কথা জানাবো। যাঁর কাজ ইতিমধ্যেই সকলের নজর কেড়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, জিৎ এই বয়সেই স্থানীয় একটি দোকানে কাজ করে তাঁর উপার্জিত অর্থের একটা অংশ অর্পণ করেছেন এক মহতী উদ্দেশ্যে।

কয়েকদিন আগেই জিৎ “Ketto” মারফত জানতে পারেন যে, ১৮ বছরের এক কিশোরীর কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য অর্থের প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, অর্থের অভাবে যাঁরা চিকিৎসা করাতে পারেন না বা যাঁদের চিকিৎসার জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন হয় তাঁদের কথাই তুলে ধরে “Ketto”। পাশাপাশি, অর্থসংগ্রহের ক্ষেত্রেও সাহায্য করে তারা।

এমতাবস্থায়, ওই কিশোরীকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন জিৎ। পাশাপাশি, এই বিষয়টি তিনি তাঁর মাকেও জানান। তাঁর মা পুরো বিষয়টি জেনে তাঁকে আরও উৎসাহিত করেন। এছাড়াও, তিনি জিতকে জানান, “ভগবান তাদেরকেই সাহায্য করে, যারা অন্যদের সাহায্য করতে পারে।”

whatsapp image 2023 02 07 at 4.58.42 pm
এই কিশোরীর কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্যই অর্থ দান করেন জিৎ

এমন পরিস্থিতিতে, জিৎ স্থানীয় একটি দোকানে প্রতিদিন ৩ ঘন্টা যাবৎ কাজ করে যা উপার্জন করতেন সেই অর্থের কিছুটা অংশ তিনি তুলে দিয়েছেন ওই কিশোরীর চিকিৎসার জন্য। এদিকে, ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে এই বিষয়টি সামনে এসেছে। যেটি জানার পর জিতের এহেন মানসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সকলে। সর্বোপরি, জিৎ যেভাবে ওই কিশোরীর চিকিৎসার জন্য অর্থ সাহায্য করেছেন সেজন্য তাঁকে কুর্ণিশও জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর