৫৬ বছরের প্রৌঢ়ার প্রেমে হাবুডুবু ১৯ বছরের কিশোর! সম্পন্ন হল বাগদানও, খুব শীঘ্রই হবে বিয়ে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কথায় আছে ভালোবাসা (Love) নাকি কোনো বাধাই মানে না। এমনকি, বয়সের গন্ডীকেও টপকে যেতে পারে ভালোবাসার বন্ধন। আর তাই তো যে কোনো বয়সেই প্রেমে পড়তে পারে মানুষ। এমতাবস্থায়, থাইল্যান্ড (Thailand) থেকে সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে যা অবাক করে দেবে সবাইকেই। জানা গিয়েছে, সেখানে এক প্রৌঢ়া তাঁর থেকে বয়সে প্রায় ৩৭ বছরের ছোট একটি যুবকের প্রেমে পড়ে গিয়েছেন।

এমনকি, ১৯ বছর বয়সী যুবকটিও ওই প্রৌঢ়ার প্রেমে এতটাই পাগল হয়ে গিয়েছেন যে, তাঁরা ইতিমধ্যেই বাগদান সম্পন্ন করে বিবাহের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে, এহেন প্রেমের খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। পাশাপাশি, বিষ্মিতও হয়েছেন সকলে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, প্রায় ৯ বছর ধরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

অনন্য প্রেমের বাস্তব কাহিনি: এদিকে, স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা উঠে এসেছে খবরের শিরোনামেও। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৯ বছর বয়সী উথিচাই চন্তরাজ (Wuthichai Chantaraj) তাঁর ৫৬ বছর বয়সী “প্রেমিকা” জানলা নামুয়াংরাকের (Janka Namungrak) সাথে ১০ বছর আগে প্রথম দেখা করেন। এই প্রসঙ্গে দ্য মিরর অনুসারে জানা গিয়েছে, উথিচাই উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের সাখোন নাখোন প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। এমনকি, তিনি জানলার প্রতিবেশীও ছিলেন। এমতাবস্থায়, জানলা তাঁর ঘর পরিষ্কার করার জন্য চন্তরাজের সাহায্য চেয়েছিলেন। তখন থেকেই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে তাঁদের মধ্যে এবং পরে তা প্রেমের রূপ নেয়।

বয়স নিয়ে আদৌ চিন্তিত নন: এই প্রসঙ্গে উথিচাই জানান, “আমি জানলার সাথে দুই বছর ধরে একসাথে আছি। আমার জীবনে এই প্রথম আমি অনুভব করলাম যে, কেউ আমার সাথে স্বাচ্ছন্দে বসবাস করছে।” পাশাপাশি, তিনি দ্য মিররকে আরও জানান, “আমি জানলার জরাজীর্ণ বাড়ি দেখেছি। সে একজন সৎ, পরিশ্রমী মহিলা। আমি তার প্রশংসা করি।” এদিকে, তাঁদের মধ্যে থাকা বয়সের এই পার্থক্য নিয়ে তাঁরা আদৌ চিন্তিত নন বলেও জানা গিয়েছে। এমনকি, তাঁদের প্রেমের কথা সবাইকে জানাতেও তাঁরা ভয় পান না।

19 year old gets engaged to 56 year old grandmother despite 37 year age gap 6357b00edbd62

প্রৌঢ়ার তিন সন্তান রয়েছে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, জানলার মোট তিনজন সন্তান রয়েছে। পাশাপাশি, তাঁর বিবাহবিচ্ছেদও ঘটে যায়। তাঁর সন্তানদের বয়স ২০ থেকে ৩০-এর মধ্যে। জানলা জানিয়েছেন, “উথিচাই আমার কাছে সুপারহিরোর মতো। সে আমাকে প্রতিদিন সাহায্য করে। তারপর সে যখন বড় হল, তখন আমাদের একে অপরের প্রতি অনুভূতি আসতে শুরু করে। আমি অবাক হয়েছিলাম, কারণ আমি তাকে ছোটবেলা থেকেই চিনি।” জানা গিয়েছে, তাঁরা দ্রুত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর