বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি তুমুল চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল বিহার (Bihar) থেকে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আমাদের পার্শ্ববর্তী ওই রাজ্যে ১১ বছরের নাবালিকাকে বিয়ে করেছেন ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। আর এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই তুমুল হইচই পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই বিবাহের পেছনে উঠে আসছে অবাক করা একটি কারণও। বর্তমান প্ৰতিবেদনে এই প্রসঙ্গটি বিস্তারিতভাবে উপস্থাপিত করা হল।
জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকাকে বিয়ে করার জন্য ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম হল মহেন্দ্র পান্ডে। ঘটনাটি বিহারের সিওয়ানে ঘটেছে। এমতাবস্থায়, পক্সো আইনে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে সিওয়ানের এসপি শৈলেশ কুমার সিনহা জানিয়েছেন, মহেন্দ্র কুমারকে পস্কো আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই বিষয়ে এখন তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ওই নাবালিকার মা অভিযুক্ত মহেন্দ্র কুমার পান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে ঋণের টাকা না ফেরত দিতে পারায় ওই ব্যক্তি জোর করে তাঁর মেয়েকে বিয়ে করেছেন। তবে অভিযুক্ত মহেন্দ্র তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এটা তাঁকে ফাঁসানোর একটি ষড়যন্ত্র।
মহেন্দ্র পান্ডে জানান, তিনি ওই নাবালিকা এবং তার মায়ের অনুমতি নিয়েই বিয়ে করেছেন। কিন্তু এখন মেয়েটির মা তাঁকে ব্ল্যাকমেল করছেন। পাশাপাশি, তাঁর কাছ থেকে অর্থও দাবি করছেন। তিনি জানান, “আমাদের মধ্যে কোনো আর্থিক লেনদেন নেই। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। মিডিয়ার কেউ কেউ ভুল খবর রটাচ্ছেন।”
এদিকে, ওই নাবালিকা জানিয়েছে তার মা অভিযুক্ত মহেন্দ্র পান্ডেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন। সে আরও জানায়, “মায়ের ইচ্ছায় আমরা বিয়ে করেছি। আমরা একসাথে থাকতে গিয়েছিলাম। আগে আমার মা সব করে দিয়েছিলেন কিন্তু এখন তিনি নিজেই আমাদের ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন।” এদিকে, এই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত মহেন্দ্র পান্ডেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।