বাংলা হান্ট ডেস্কঃ খাস কলকাতার হরিদেবপুর থেকে গত কয়েকদিন আগেই কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের (Kolkata Police STF) হাতে গ্রেপ্তার হয় তিন জেএমবি (JMB) জঙ্গি নাজিউর রহমান পাভেল, মেকাইল খান ওরফে শেখ সাব্বির ও রবিউল ইসলাম, যা নিয়ে এই মুহূর্তে যথেষ্ট সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই তাদের জেরা করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তাদের ডাইরি থেকে উদ্ধার হয়েছে আল-কায়েদা (Al Qaeda) হুজি (HUJI) সহ একাধিক জঙ্গী সংগঠনের নেতাদের নম্বর। ইতিমধ্যে বারাসাত থেকে তাদের লিংকম্যান লালু সেনকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এবার ফের একবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল এক বাংলাদেশি (Bangladesh) অনুপ্রবেশকারী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অবশেষে বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করে হাওড়া সিটি পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আপাতত তার বিরুদ্ধে ফরেনার আইনের ১৪ এ ধারা মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে এসটিএফ খতিয়ে দেখছে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কোনও নাশকতা মূলক সংগঠনের কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা।
জানা গিয়েছে হাওড়া থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম ইশরাফুল মাতব্বর। কয়েকদিন ধরে ওই ব্যক্তির সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছিল হাওড়া সিটি পুলিশ। এদিন ৩২ বছর বয়সী ইশরাফুলকে জেরা করতেই পুলিশ বুঝতে পারে তার কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্র নেই। তাকে আরও খানিক জেরা করতেই বোঝা যায়, আসলে সে এই দেশের বাসিন্দা নয়, এসেছে বাংলাদেশ থেকে। তাও কোনরকম কাগজপত্র ছাড়াই।
জানা গিয়েছে ইশরাফুল এর আগেও বেশ কয়েকবার ভারতে যাতায়াত করেছে। বছরের বিশেষ বিশেষ সময়ে রাজ্যে এসে সে ছাতা সেলাইয়ের কাজ করে। ইশরাফুলের বক্তব্য অনুযায়ী পুরোটাই তাকে করতে হয় পেটের টানে। হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ছাতা সেলাই করাই তার কাজ। তবে এর আগেও কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স জানতে পেরেছে, বাংলাদেশ থেকে আসা জঙ্গিরা সাধারণত এ ধরনের ছোট ছোট কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে যাতে তাদের ওপর কেউ সন্দেহ না করে। তাই ইশরাফুলকে একবারে সন্দেহের বাইরে রাখা যায় না। আপাতত তার কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে কোন যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।