বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০২৭ সালের জনগণনার ১১,৭১৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, প্রথমবারের মতো, দেশব্যাপী ডিজিটাল জনগণনা (Digital Census) সম্পন্ন হবে। যার জন্য ৩০ লক্ষ কর্মচারী নিয়োগ করা হবে।
সম্পন্ন হবে ডিজিটাল জনগণনা (Digital Census):
ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে আজ মন্ত্রিসভায় ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম সিদ্ধান্তটি হল ২০২৭ সালের জনগণনা সম্পর্কিত। যা দেশের জন্য একটি বিশাল প্রক্রিয়া। এর জন্য ১১,৭১৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, দেশের কয়লা সেক্টরে Coal Setu-র মাধ্যমে বড় সংস্কার বাস্তবায়িত হয়েছে। তৃতীয়ত, কৃষকদের কল্যাণের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
#WATCH | Delhi | On Union Cabinet decisions, Union Minister Ashwini Vaishnaw says,” The Cabinet has approved a budget of Rs 11,718 crores for Census 2027.” pic.twitter.com/wnpvvkzkej
— ANI (@ANI) December 12, 2025
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন যে, ২০২৭ সাল থেকে দেশব্যাপী জনগণনা সম্পন্ন হবে। এই জনগণনা ২ টি ধাপে পরিচালিত হবে। প্রথম ধাপে হাউস লিস্টিং এবং হাউসিং গণনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যা ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে। অপরদিকে, দ্বিতীয় পর্যায়ের অধীনে, জনসংখ্যার গণনা সম্পন্ন হবে। যা ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পরিচালিত হবে। তাঁর মতে, তথ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে জনগণনার ডিজিটাল ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাত্র ৪০ দিনে হয়েছে তৈরি! ‘এটাই বিশ্বের সবথেকে উঁচু মেসির মূর্তি’, দাবি মন্ত্রী সুজিত বসুর
এদিকে, অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, ভারত কয়লা উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার দিকে এগিয়ে চলেছে। ২০২৪-২০২৫ সালে, ভারত ১ বিলিয়ন টনেরও বেশি পরিমাণ কয়লা উৎপাদন করেছে। এছাড়াও, কয়লা আমদানির ওপর ভারতের পূর্ববর্তী নির্ভরতা এখন প্রায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে বলেও জানান তিনি। কয়লা আমদানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ভারত ৬০,০০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি।
আরও পড়ুন: গম্ভীরের কারণেই দুর্দশা বাড়ছে টিম ইন্ডিয়ার? T20 বিশ্বকাপের আগে বাজছে বিপদের ঘণ্টা
জানিয়ে রাখি যে, ভারতের জনগণনা দেশের জনসংখ্যা থেকে শুরু করে আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং সম্পদের বন্টনের একটি বিস্তৃত সার্ভে হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং সেনসাস কমিশনার দ্বারা পরিচালিত হয়।












