বাড়ি পৌঁছানর জন্য ৩ দিন অবিরাম হেঁটে চলল ১২ বছরের বাচ্চা, ১১ কিমি বাকি থাকতে হেরে গেলো যুদ্ধে!

আজ দুই মাস আগে তার কয়েকজন আত্মীয়ের সাথে লংকার ক্ষেতে কাজ করতে গেছিলো বছরে বারোর নিষ্পাপ জামালো।ছত্তিশগড়ের বিজাপুরের এই বালক মদকাম তেলঙ্গানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারপর আর বাড়িতে ফেরা হয়নি। রবিবার বাড়ি ফেরার মাঝে এই নিরীহ বাড়ি থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে মারা যায়। মৃত্যুর কারণ হয়তো ক্লান্তি। তিন শিশু ও আট জন মহিলা ছিলেন। এই সময়ে সবার লোকেরা প্রায় একশো কিলোমিটার ভ্রমণ করেছিল।টানা তিন দিন হেটেছি ঐ শিশু। জামালো আরও তেরো জনের সাথে তিন দিন ধরে একটানা হাঁটছিল।

পরে জানার গেছে জামালোর ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা এবং চরম ক্লান্তির কারণে মারা সে মারা গেছে। বাকিরা বাড়িতে ফিরলেও তার আর ফেরা হয়নি। জামালোর পরিবারের সদস্যরা তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য বনের পণ্যগুলির উপর নির্ভরশীল ছিলো। মনে সবাই খেতে কাজ করতো। আর জমাল তাই করতো।

আন্দোরাম এবং ম্যাডকামের একটিই সন্তান ছিল।   অন্দরম জানিয়েছিলেন যে তিনি এই বছর গ্রামের কিছু মহিলা সহ তেলঙ্গানায় অবস্থিত লঙ্কা ক্ষেতের মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন। তাই জামাল এখানেই যায়। আর এই শিশুর মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল জামালোর পরিবারকে এক লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

কিন্তু অনেকেই ভাবে করোনা আক্রান্ত হয়ে হয়তো মারা গেছে। জামালোর মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল এবং অন্য সকলকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয় । জামালোর পরিবার তার মরদেহ নিতে রবিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে গেলে জানা যায় তার করোনা হয়নি।


সম্পর্কিত খবর