বাংলাহান্ট ডেস্ক : কী অপরাধ ছিল তাঁর? নূপুর শর্মার বক্তব্যকে সমর্থন করার ‘শাস্তি’ পেলেন নিজের জীবন দিয়ে। প্রকাশ্যে কেটে নেওয়া হলো তাঁর গলা। উদয়পুরের দর্জি কানহাইয়া লালের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। তদন্তের ভার এনআইএ-র হাতে। এবার তদন্তে উঠে এল আর এক বিস্ফোরক তথ্য। কানহাইয়া লালের ঘটনাই প্রথম নয়। এর আগেও নূপুর শর্মাকে সমর্থন করার অপরাধে জীবন দিতে হয়েছিল এক ওষুধ বিক্রেতাকে। সেক্ষেত্রেও গলা কেটে মর্মান্তিক ভাবে খুন করা হয় তাকে।
ঘটনাটা ঠিক কী ?
মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে এই ঘটনাটি ঘটে। অমরাবতী পুলিশ সূত্রে খবর ২১ জুন এক ওষুধ বিক্রেতার গলা কেটে হত্যা করা হয়। জানা যাচ্ছে, তাঁর নাম উমেশ প্রহ্লাদ রাও কোহ্লে। তাঁর ছেলে সঙ্কেত কোহ্লের অভিযোগ ভিত্তিতে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ২৩ জুন এই ঘটনায় গ্রেফতার হয় মুদসির আহমদ এবং শাহরুখ পাঠান। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা যায়, এই ঘটনায় জড়িত আছে আরও অনেকে। আব্দুল তৌফিক, শোয়েব খান, আতিব রশিদ এবং শামীম ফিরোজ আহমদের নাম উঠে আসে। শামীম ছাড়া বাকি সবাইকেই গ্রেফতার করে অমরাবতী পুলিশ।
কী ভাবে হলো এই হত্যাকাণ্ড?
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ২১ জুন রাত ১০ থেকে ১০ঃ৩০ র মধ্যে উমেশ দোকান বন্ধ করে স্কুটারে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। অন্য একটি স্কুটারে ছিলেন তাঁর ছেলে সঙ্কেত। অভিযোগকারী জানান, ‘ যখন আমরা প্রভাত চকের দিকে যাচ্ছিলাম তখন মহিলা কলেজ নিউ হাইস্কুলের সামনে দুটো মটরবাইক এসে উমেশের রাস্তা আটকায়। এরপরই একজন বাইক থেকে নেমে তাঁর গলার বাঁদিকে ছুড়ি চালিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন উমেশ।’ সঙ্গে সঙ্গেই ভয়ে চিৎকার শুরু করেন সঙ্কেত। কিন্তু ততক্ষণে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা। আশপাশের লোকজনের সাহায্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় উমেশকে। কিন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
অমরাবতী পুলিশের এক বরিষ্ঠ আধিকারিক জানান, ‘যে পাঁচ অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা জানিয়েছে অন্য এক জন তাদেরকে এই কাজে লাগিয়েছিলো। এর জন্য তাদেরকে ১০ হাজার টাকাও দেওয়া হয় বলে জানায় তারা।’ পুলিশের সন্দেহ এই পুরো ঘটনার মাস্টার মাইণ্ড সেই। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে আরও কিছু তথ্য। জানা যাচ্ছে, কিছু দিন আগেই, উমেশ নূপুর শর্মার সমর্থনে হোয়াটসঅ্যাপে একটি পোস্ট ভাইরাল করে দেন। ভুল করে সেই পোস্ট এমন বেশ কিছু গ্রুপে চলে যায় যেখানে অনেক মুসলিম যুক্ত আছেন। তারপরেই ঘটে এই ঘটনা।