বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কথায় বলে বিয়ে নাকি সাত জন্মের বন্ধন। বর্তমান করোনা (Covid-19) আবহে অনেকেই কোনকিছুর পরোয়া না করে, নিজের জীবনসঙ্গীর সাথে সাত জন্ম কাটানোর জন্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। লকডাউনকে কাজে লাগিয়ে কেউ কেউ এই সময়ে নতুন বউয়রে সাথে বেশ কিছুটা একান্তে সময় কাটানোর সুযোগও পাচ্ছেন। কেউ আবার সেই কারণে মনে মনে করোনাকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
করোনার কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ
করোনার সংকটের মধ্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একদিকে যেমন অনেকে সুখে দিন কাটাচ্ছে, তেমনই অন্যদিকে এই করোনাই স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিরোধের কারণ হয়ে দাঁড়াল। বছর দেড়েক আগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ইন্দিরা নগরের হিনার সাথে চন্দন গ্রামের বাসিন্দা ফকরুলে বিবাহ হয়েছিল।
গর্ভবতী স্ত্রী করোনা পজেটিভ
সুখে আনন্দেই চলছিল তাঁদের নতুন সংসার। এই করোনা সংকটের মধ্যেই হিনা গর্ভবতী হওয়ায় ডেলভারির জন্য গত ৪ ই জুলাই ফকরুল তাকে লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে করোনা টেস্ট করায় হিনার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। ব্যাস, এই খবর শোনা মাত্রই মাথায় বাজ পড়ে ফকরুলের। তৎক্ষণাৎ স্ত্রী হিনাকে হাসপাতালে রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
স্ত্রীকে চিনতে অস্বীকার করে স্বামী
হাসপাতালের তরফ থেকে হিনার সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের সম্মতির জন্য স্বামী ফকরুলকে বারংবার ফোন করা হয়। প্রথমদিকে ফোন না তুললেও, পরবর্তীতে ফকরুল জানায়, সে হিনা নামে কাউকে চেনে না। করোনা ভাইরাসের ভয়ে নিজের বিবাহিত স্ত্রীকেই চিনতেই অস্বীকার করে স্বামী। এমনকি তাঁর শ্বশুরও সরাসরি জানিয়ে দেয়, কোন করোনা রোগীর সাথে তাঁদের কোন সম্পর্ক নেই।
বিবাহিত সম্পর্কের ইতি ঘটে
সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারে দেরী হওয়ায় তাঁদের সন্তানটি ভূমিষ্ট হওয়ার আগেই মারা যায়। দীর্ঘ আট দিন ধরে করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়ে বুকে একরাশ বেদনা নিয়ে মায়ের বাড়িয়ে ফিরে যায় হিনা। বাড়ি ফিরে স্বামী শ্বশুরের নামে আদালতে মামলা করাবেন বলে জানান হিনা।