বাংলাহান্ট ডেস্ক: সেই ‘ওগো বধূ সুন্দরী’র সময় থেকে ঋতাভরী চক্রবর্তীর (Ritabhari Chakrabarty) প্রেমে পড়েছিলেন দর্শকেরা। এত বছর পরে ভালবাসাটা বেড়েছে বই কমেনি। ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দায় পা দিয়েছেন ঋতাভরী। বলিউড ডেবিউও সেরে ফেলেছেন। এবার জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন অভিনেত্রীর। এদিকে কেঁদে আকুল অনুরাগীরা।
মনোবিদ ডা: তথাগত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন ঋতাভরী। সুখবরটা দিয়েছিলেন আগেই। সম্প্রতি প্রথম বারের মতো প্রেমিকের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিও শেয়ার করেন অভিনেত্রী। দুদিন আগেই আইনি বিয়ে সেরেছেন ঋতাভরীর দিদি চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী। বিশেষ অতিথি ছিলেন হবু জামাই তথাগতও।
অনুষ্ঠানের ফাঁকে তথাগতর সঙ্গে ফটোশুট সেরেছেন ঋতাভরী। দিদির বিয়েতে সাদা ও মেরুন রঙা লেহেঙ্গা চোলিতে সেজেছিলেন অভিনেত্রী। তথাগত পরেছিলেন ধূসর রঙা পাঞ্জাবি। অভিনেত্রীকে জড়িয়ে ধরে গালে চুম্বন করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। ব্যাকগ্রাউন্ডে অরিজিৎ সিংয়ের গাওয়া ‘আটক গয়া’ গানটা জুড়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী।
ঋতাভরী তথাগতর জুটিকে কার্যত চোখে হারাচ্ছেন অনুরাগীরা। আবার কয়েকজন কেঁদেও ভাসাচ্ছেন। এতদিনের ‘ক্রাশ’ বিয়ে করে নিচ্ছে বলে কথা! একজন তো ‘শাদি মে জরুর আনা’র গানের লাইন তুলে লিখেছেন, ‘এবার UPSC টা পাশ করেই যাব!’ ঋতাভরীও উত্তর না দিয়ে থাকতে পারেননি। অনুরাগীর কৌতুক বোধের প্রশংসা করে তিনি লিখেছেন ‘সেরা’। আরেকজন প্রশ্ন করেছেন, এভাবে মনটা কীকরে ভেঙে দিতে পারলেন ঋতাভরী?
প্রসঙ্গত, ঋতাভরী এর আগে জানিয়েছিলেন জীবনের সবথেকে কঠিন সময়ে চিকিৎসক তথাগতকে পাশে পেয়েছিলেন তিনি। তাই যেখানে মনের মিল হতে অন্তত পাঁচ ছয় বছর সময় লাগে, সেখানে তাঁদের লেগেছে মাত্র কয়েক মাস। একটি ক্লিনিকের উদ্বোধনে গিয়ে প্রথম বার তথাগতর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় ঋতাভরীর।
তবে তাঁদের পরিচয় বাড়ে যখন অভিনেত্রী নিজের এক বান্ধবীকে তথাগতর চেম্বারে নিয়ে যান। গত বছরের মার্চ মাসে দ্বিতীয় বার অস্ত্রোপচার হয় ঋতাভরীর। তখনি ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। ২০২১ এ জীবনের খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন অভিনেত্রী। সেই সময়টা তথাগত তাঁর পাশে ছিলেন।
https://www.instagram.com/p/Cc0efRsBw0v/?igshid=YmMyMTA2M2Y=
ঋতাভরী জানান, তথাগত তাঁকে সবথেকে খারাপ সময়টায় দেখেছে। তাই তাঁর সঙ্গে অনায়াসেই মিশে যেতে পেরেছিলেন অভিনেত্রী। এমনকি প্রেমিকের সামনে মেকআপ করে সুন্দরী হয়ে ওঠারও প্রয়োজন মনে করেন না তিনি। দুজনে ঘন্টার পর ঘন্টা পছন্দের কাজ করে যেতে পারেন।