বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তর প্রদেশের একটি ছোট্ট গ্রামের কৃষক গয়া প্রসাদ মৌর্য তাঁর গল্প ভারতের কোটি কোটি কৃষকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে। কারণ তিনি নতুন উদ্ভাবনা এবং উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে থাকেন।
তার শত শত একর জমিও নেই এবং কোটি কোটি টাকাও তারা উপার্জন হয়না। যারা কৃষিকাজ ছেড়ে শহরে চাকরির জন্য যায় তাদের কাছে এটা একদম অন্য বিষয়। ব্রোকলি এবং অন্য দিকে গোলাপ চাষ করে গয়া প্রসাদ।
এমনকি তার জমিতে আর যারা আছেন সেই বাকী কৃষকরা বাঁধাকপি নার্সারি বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। উত্তরপ্রদেশের বড়বাঙ্কির গয়া প্রসাদ মৌর্য এমনই একজন তিনি ক্যান্সার থাকা সত্ত্বেও পিছিয়ে যান নি। তিনি তার রোগ নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি শহরের চাকরির না করে গ্রামে তার কৃষিকে অগ্রাধিকার দিতেন।
২০১১ সালে, ক্যান্সার হয়েছিল সেখান থেকে অনেক চিকিৎসা চলে। এই রোগ থেকে বের হয়ে তিনি তার নিজের গ্রামে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তাকে এই কাজে সাহায্য করে তার মেয়ে এবং তাঁর স্ত্রী। এখনও তার স্ত্রী কৃষিক্ষেত্রে থাকেন। মাঠে রোপণ করা ফুলগুলিও সকালে বাজারে পৌঁছে দেয় তার বাড়ীর লক। এমনকি বাড়িতেই চাষ হওয়া গোলাপ ফুল গুলির পাতা শুকিয়ে এবং সেগুলি বের করে এবং গোলাপ জল বিক্রি করেন তিনি। তিনি জমির এক অংশে দীর্ঘমেয়াদী ফসল হিসাবে একটি ড্রাগন ফলের বাগান রোপণ করেন। জার হদিশ পেয়েছিলেন বহু বছরে আগেই লখনৌতে। এখনও তিনি পুরোপুরি জৈবিক পদ্ধতিতে চাষ করেন। তার ফসলের কোনো অজৈব উপাদান থাকে না। আর এই ক্যান্সার জয়ের পর তিনি সেটা আরো ভালো করে বুঝতে পেরেছে।