বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েকদিন আগেই ‘লক্ষী ভান্ডার’ প্রকল্পের নামে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল ৬ জন মহিলার সাথে। সরকারি আধিকারিক হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও করে দেওয়া হয়েছিল প্রায় ২৬ হাজার ৫০০ টাকা। ফের একবার ঘটল একই ধরনের ঘটনা, এবারও সরকারি আধিকারিক সেজে ফোন করে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের নামে করা হল প্রতারণা। যার জেরে প্রায় আট হাজার টাকা খোয়ালেন এক গৃহবধূ।
ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙ্গড়ের কাঁঠালিয়া এলাকায়। গ্রামের গৃহবধূ সাবেরা বিবির অভিযোগ, ‘লক্ষী ভান্ডার’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি তার কাছে একটি ফোন আসে, নিজেকে সরকারি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে এক যুবক বলেন সাবেরা বিবিকে বিশেষ স্কিমে ১৬ হাজার টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু তার জন্য তাকে স্থানীয় রিচার্জের দোকান থেকে ৮ হাজার টাকা অনলাইনে পাঠাতে হবে। প্রথমে দোনামোনা করলেও পরে রাজি হয়ে টাকা পাঠিয়ে দেন সাবেরা বিবি। কিন্তু বদলে তার অ্যাকাউন্টে কোন টাকাই ঢোকেনি। তখনই তিনি বুঝতে পারেন তাকে প্রতারিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমায় একটি ছেলে ফোন করে বলে সে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে আমায় ১৬ হাজার টাকা দেওয়া হবে। তার জন্য আমায় অনলাইনে কিছু টাকা পাঠাতে হবে। তারপরেই আমার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে। সেই মত আমি রিচার্জের দোকানে যাই। সেখানে গিয়ে বলি অনলাইনে ৮ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিতে। বলি, যে আমার ছেলে বাইরে থাকে। ও ফোনে রয়েছে। ওর কিছু টাকার দরকার। ৮ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিন। দোকানদারও টাকা পাঠিয়ে আমার থেকে পাল্টা টাকা চায়। আমি আমার ১৬ হাজার টাকা চাইতেই দোকানদার বলে এমন কোনও টাকা ঢোকেনি। তখনই বুঝতে পারি আমায় ঠকানো হয়েছে।”
শেষে দোকানদারের সঙ্গে কথা বলেই কাশিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে তারা। লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে এ ধরনের প্রতারণা আগেও হয়েছে, একাধিক দৃষ্টান্ত উঠে এসেছে ধুপগুড়ি, মালদা প্রভৃতি এলাকা থেকে। কার্যত বারবারই কখনও টাকার লোভ দেখিয়ে, কখনও বা মেসেজ আসেনি কেন তা দেখার নাম করে অ্যাকাউন্ট নম্বর চেয়ে নিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে মানুষের সঙ্গে।