হামেশাই লটারি কাটেন ? এই বাংলাতেই যা হল, আর টিকিট কাটার সাহস হবে না নিশ্চিত!

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমরা মাঝে মধ্যেই টিভিতে লটারির বিজ্ঞাপন দেখি। এছাড়া বহু মানুষ প্রত্যেক দিন লটারির (Lottery) টিকিট কাটেন, নিজের ভাগ্য যাচাই করে নিতে চান। প্রায় দিনই লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি (Crorepati) হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু এর মধ্যেও শোনা গেলো এক প্রতারণার খবর। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ডেইলি লটারি নামের এক জাল লটারি (Fraud) সংস্থার (Lottery agency) খোঁজ পেলো আসানসোলের জামুরিয়া থানার পুলিশ।

মানুষকে ঠকানোর এই ব্যবসা রমরমিয়ে চলছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ পাকড়াও করলো দুষ্কৃতীদের। পুলিশের কাছে তাঁদের গোপন সূত্র মারফত খবরটি আসে। রবিবার রাতে তদন্ত করে পুলিশ সেখান থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা প্রচুর জাল লটারির টিকিট সহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ সনাক্ত করে যে এঁদের মধ্যে তিন জন কুলটি থানার নিয়ামতপুরের বাসিন্দা ও একজন বানপুরের বাসিন্দা।

পুলিশ আরও জানায় যে অনেক দিন ধরেই এই চক্রান্তকারী দলটি ঝাড়খন্ড লটারি নামে আসানসোল সহ বাংলার সীমান্ত এলাকায় এইসব নকল লটারির টিকিট তৈরী করতো এবং তারপরে তা বিভিন্ন রাজ্যে পাচার করতো। প্রধানত দুর্গাপুর এবং আসানসোলে বেশী বিক্রি হতো এই টিকিট এবং এইভাবেই তারা প্রায় ১ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি করতে সক্ষম হয়। ধীরে ধীরে তাঁদের লোভ বাড়তে থাকায় তারা সাধারণ মানুষকে তাদের লোভের জালে ফাঁসিয়ে জোর কদমে বিক্রি করতে থাকে এই লটারির টিকিট।

 

এরপর যখন একজন বিজেতা বেশ বড় অংকের টাকার লটারি যেতে তারা দিতে অক্ষম হওয়ায় সেই বিজেতাই পুলিশকে খবর দেয়। পাশাপাশি বেশ আরও কয়েকজন লটারি ক্রেতা তাদের নামে অভিযোগ দায়ের করেন জামুরিয়া থানায়। এরপর থেকেই পুলিশ তাদের ধরার জন্য ওৎ পেতেছিল। রবিবার রাতে যখন ওই ৪ জন জাল লটারির সাপ্লাই করতে আসে, তাদের হাতেনাতে ধরে পুলিশ।

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর

X